কানাডা বাংলাদেশের বন্ধুপ্রতিম দেশ: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান বলেছেন, কানাডা বাংলাদেশের বন্ধুপ্রতিম দেশ। দুই দেশেই গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থা বিরাজমান। বাংলাদেশের সঙ্গে কানাডার বাণিজ্য সম্ভাবনার খাতগুলো চিহ্নিত করে কানাডাকে বাংলাদেশে বিনিয়োগে আকৃষ্ট করতে হবে।
সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) অটোয়া হাইকমিশনে তথ্য প্রতিমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানানো হয়। এ সময় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, কানাডা ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক রয়েছে। ১৯৭২ সালে এ দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপিত হয়। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরপরই বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় কানাডা। গণতন্ত্র, স্বাধীনতা, মানবাধিকার, আইনের প্রয়োগ ইত্যাদির মূল্যবোধের ওপর প্রতিষ্ঠিত এ দুই দেশের মধ্যকার কূটনৈতিক সম্পর্ক মূলত বাণিজ্য, বিনিয়োগ, আঞ্চলিক নিরাপত্তা, উন্নয়নমূলক সহযোগিতা, অভিবাসন প্রভৃতি বিষয়ের ওপর বিশেষ লক্ষ্য রাখে। বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে ১৯৭১ সালে স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশে কানাডা উন্নয়নমূলক কাজের মধ্যে পুনর্নির্মাণ এবং পুনর্বাসন কার্যক্রমে উল্লেখযোগ্য সহযোগিতা করে। গণতন্ত্র ও নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশের উদ্যোগ ও স্পৃহাকে বরাবরই কানাডা প্রশংসা করে এসেছে।
ডা. মুরাদ হাসান বলেন, বিশ্ববাসীর কাছে দেশের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরতে হবে এবং দেশের বিরুদ্ধে যারা ষড়যন্ত্র করবে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। বাংলাদেশ এখন নিরাপদ দেশ, যেকোনো সময়ের চেয়ে অনেক ভালো অবস্থানে রয়েছে। বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ বিরাজমান, দেশে এখন একশ অর্থনৈতিক অঞ্চল রয়েছে যেখানে যেকোনো ব্যবসা ও শিল্পপ্রতিষ্ঠান স্থাপনের পরিবেশ রয়েছে। এ বিষয়ে সরকার সর্বাত্মক সহযোগিতা করছে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, কানাডার সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করতে হবে। দুই দেশের মাঝে ব্যবসায়িক সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন ও বাণিজ্য সম্পর্ককে আরও দৃঢ়করণের লক্ষ্যে কাজ করতে হবে হাইকমিশনকে। কানাডায় হিমায়িত ও প্রক্রিয়াজাত খাদ্যের চাহিদা রয়েছে। আর বাংলাদেশের এই দুইটি খাতেই রপ্তানির সম্ভাবনা রয়েছে। কানাডা বাংলাদেশে শিক্ষা-স্বাস্থ্যসহ নানা খাতে বিনিয়োগ করেছে। তারা বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথ অংশিদারত্বে কাজ করতে ইতোমধ্যে আগ্রহের কথা জানিয়েছে।
অনুষ্ঠানে অটোয়ার হাইকমিশনার ডা. খলিলুর রহমানসহ হাইকমিশনের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এমআইএস/এমআরআর/এএসএম