গণমাধ্যমের বিকাশের সঙ্গে কিছু ধান্দাবাজও তৈরি হচ্ছে: তথ্যমন্ত্রী
দেশে গণমাধ্যমের বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে কিছু ধান্দাবাজও তৈরি হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ।
বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে রাজশাহী বিভাগ সাংবাদিক সমিতি- ঢাকার দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভায় এই মন্তব্য করেন তিনি।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে গণমাধ্যমেরও বিকাশ ঘটেছে। আর গণমাধ্যমের বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে কিছু ধান্দাবাজও তৈরি হচ্ছে। তারা একটি ব্রিফকেস নিয়ে বিভিন্ন দপ্তরে যায়। বিজ্ঞাপন ম্যানেজ করে, যখন ম্যানেজ হয় তখন সেই পত্রিকা বের করে। এর প্রভাব মূলধারার গণমাধ্যমে পড়ছে।'
করোনাকালে চাকরিচ্যুত সাংবাদিকদের কাজে ফেরাতে গণমাধ্যম মালিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘করোনাকালে বা কোনো সমস্যা হলে তার পুরোটা যদি শুধু গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর চাপিয়ে দেন, সেটি অন্যায় হবে। করোনাকালে চাকরিচ্যুতদের কাজে ফেরানোর ব্যবস্থা করুন। প্রয়োজনে বীমা আইন অনুযায়ী কর্মীদের বীমা করুন।’
২১০টি পত্রিকা বন্ধের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘পত্রিকাগুলো আসলে ছাপা হয় না, মাঝে-মধ্যে হঠাৎ ছাপানো হয়। পত্রিকাগুলো আমি বন্ধের উদ্যোগ নিয়েছি। ২১০টি পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিলে ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসকদের ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছি।’
তিনি বলেন, ‘আপনারা শুধু ব্যত্যয় ঘটে এমন বিষয় নয়, সাফল্যের বিষয়গুলোও প্রকাশ করুন।’
হাছান মাহমুদ আরও বলেন, ‘ফখরুল সাহেব বলেন- দেশের অবস্থা ভালো নয়। ১০ বছর আগের চিন্তা করুন, দেশ কোথায় ছিল, আর এখন কোথায়। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীও বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নতির কথা। সেখানে আপনি (ফখরুল) স্বীকার করেন বা না করেন, তাতে কিছু যায় আসে না।’
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও রাজশাহী-২ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু, রাজশাহী বিভাগ সাংবাদিক সমিতি-ঢাকার সভাপতি খায়রুজ্জামান কামাল, সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান চৌধুরী প্রমুখ।
আরএসএম/এমআরআর/এএসএম