ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

মেডিকেল সামগ্রী কেনায় দুর্নীতি: ১১ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৫:১৪ পিএম, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১

রাজধানীর আজিমপুর মাতৃসদন ও শিশুস্বাস্থ্য প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের সাত চিকিৎসকসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলায় অভিযোগপত্র (চার্জশিট) অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

আসামিদের মধ্যে সাত চিকিৎসক হলেন মাতৃসদন ও শিশু স্বাস্থ্য প্রশিক্ষণের সাবেক তত্ত্বাবধায়ক ডা. ইসরাত জাহান, সাবেক জুনিয়র কনসালটেন্ট মাহফুজা খাতুন, সাবেক সহকারী কো-অর্ডিনেটর (ট্রেনিং অ্যান্ড রিসার্স) ডা. চিন্ময় কান্তি দাস, মেডিকেল অফিসার ডা. বেগম মাহফুজা দিলারা আকতার, ডা. নাজরীনা বেগম, সাবেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. জহিরুল ইসলাম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ইসলাম ও পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের সাবেক অধ্যক্ষ ডা. পারভীন হক চৌধুরী।

অন্য চার আসামি হলেন মেসার্স মনার্ক এস্টাব্লিশমেন্টের স্বত্বাধিকারী ফাতে নূর ইসলাম, নাফিসা বিজনেস কর্নারের স্বত্বাধিকারী শেখ ইদ্রিস উদ্দিন ওরফে চঞ্চল, সান্তনা ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী নিজামুর রহমান চৌধুরী।

আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্ধারিত মূল্যতালিকা অনুযায়ী ওষুধ ও সরঞ্জামাদি না কিনে মনগড়া দরে জিনিসপত্র ক্রয় করেছেন। অর্থাৎ বাজারদরের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি দামে ওষুধ, সার্জিক্যাল যন্ত্রপাতি ও প্যাথলজিসামগ্রী কেনাকাটায় সোয়া এক কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন তারা।

সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে দুদক সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার এ তথ্য জানিয়েছেন।

দুদক সচিব বলেন, আসামিরা একে অপরের সহায়তায় অসৎ উদ্দেশ্যে লাভবান হওয়ার জন্য অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গের প্রতারণা, ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে মেডিসিন অ্যান্ড ইকুইপমেন্ট টেন্ডারের মাধ্যমে ক্রয়ের ক্ষেত্রে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা-২০১৮ লংঘন করেছেন।

তিনি জানান, ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের নির্ধারিত মূল্যতালিকা মোতাবেক মেডিসিন এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক প্রকাশিত মেডিকেল অ্যান্ড সার্কিটের মূল্যতালিকা মোতাবেক সার্জিক্যাল আইটেম ক্রয়ের ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ছাড়া বর্তমান বাজারদর আমলে না নিয়ে গঠিত বাজার কমিটির প্রথম মনগড়া ও ভিত্তিহীন দরকে বিবেচনায় নিয়ে মালামাল ক্রয় করে মোট এক কোটি ২৮ লাখ ৬৩ হাজার ২৪১ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

দণ্ডবিধি ৪০৯/৪২০/১০৯ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিলের সুপারিশ করা হয়েছে।

এর আগে ২০১৯ সালের শেষে আজিমপুর মাতৃসদন ও শিশুস্বাস্থ্য প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে কেনাকাটায় দুর্নীতির প্রমাণ পেয়ে ২৫ জনের বিরুদ্ধে চারটি মামলা করে দুদক। সংস্থাটির ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে উপ-পরিচালক আবু বকর সিদ্দিক মামলাগুলো করেন।

মামলায় বাজারদরের চেয়ে দু-তিনগুণ বেশি দামে ওষুধ, সার্জিক্যাল যন্ত্রপাতি ও প্যাথলজিসামগ্রী কেনাকাটায় প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়।

এসএম/এএএইচ/এমএস