ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

‘সংক্রমণ হার কমলেও স্বস্তির কারণ নেই’

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশিত: ০৫:১২ পিএম, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হার কমলেও স্বস্তির কারণ নেই। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে করোনা সংক্রমণের হার কমার পর পুনরায় নতুন ভ্যারিয়েন্টে এ ভাইরাসের প্রার্দুভাব দেখা গেছে। বর্তমানে দেশে এ ভাইরাসের সংক্রমণ হার হ্রাস পেলেও আবারও বাড়তে পারে। আর যেনো না বাড়ে সেজন্য অবশ্যই মাস্ক পড়তে হবে, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে, ভ্যাকসিন নিতে হবে এবং বিদেশ থেকে যারা আসে তাদের কোয়ারেন্টিনে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।

তিনি বলেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সব রোগী দুই সপ্তাহেই সুস্থ হয় না। আরোগ্য হতে কোনো কোনো রোগীর দীর্ঘ সময় লেগে যায়। আবার করোনা নেগেটিভ হওয়ার পরও রোগীদের যেসব জটিলতা দেখা যায় তা থেকে মুক্তি পেতে দীর্ঘমেয়াদি ফলোআপ চিকিৎসার প্রয়োজন হয়। বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি কোন দিকে যাচ্ছে তা সঠিকভাবে অনুধাবন করতে আরও ৬ মাস পর্যবেক্ষণ করতে হবে।

সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) উপাচার্য তার কার্যালয়ে গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন।

অধ্যাপক শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কোভিড ফিল্ড হাসপাতালে বর্তমানে ৫০ জনেরও বেশি রোগী এবং কেবিন ব্লকের করোনা সেন্টারে শতাধিক রোগী ভর্তি আছেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কোভিড ফিল্ড হাসপাতাল কমপক্ষে আরও ৬ মাস চালু রাখা হবে। তারপর করোনা পরিস্থিতির বিষয়টি মূল্যায়ন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া অর্থ বরাদ্দ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপাচার্য বলেন, এটা বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনন্য উদাহরণ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার জন্য যে অর্থ বরাদ্দ দিয়েছেন তার সদ্ব্যবহার করতে হবে। এর পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের অবশ্যই ভ্যাকসিন কর্মসূচির আওতায় নিয়ে আসতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ক্ষেত্রে কোনো শিথিলতা দেখানো যাবে না।

উপাচার্য বলেন, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিক দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় দেশসেরা। করোনা মহামারির মধ্যে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বন্ধ থাকলেও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় খোলা ছিল, বর্তমানেও খোলা রয়েছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসনের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার কার্যক্রম চালু রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, করোনা মোকাবিলায় চিকিৎসাসেবাসহ সংশ্লিষ্ট কার্যক্রমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় দেশে অগ্রণী ভূমিকা রাখছে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের সেবাদান, ভ্যাকসিন কার্যক্রম, করোনাভাইরাস শনাক্তকরণ কার্যক্রম, করোনাভাইরাস নিয়ে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি অনান্য রোগীদের প্রয়োজনীয় অপারেশনসহ চিকিৎসাসেবা প্রদান অব্যাহত রয়েছে।

একই দিনে (১৩ সেপ্টেম্বর) বিএমআরসির উদ্যোগে ন্যাশনাল হেলথ রিসার্চ স্ট্র্যাটেজি ডিসেমিনেশন বিষয়ে সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বিএমআরসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। এসময় শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মনিরুজ্জামানসহ শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।

এমইউ/ইউএইচ/জিকেএস