শনাক্তের হার ৯ শতাংশের সামান্য বেশি
দেশে করোনা সংক্রমণের হার আরও কমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ৭৯৯টি ল্যাবরেটরিতে ২৭ হাজার ৫২৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়ালো ৯১ লাখ ৪৬ হাজার ৩৭১টি।
নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ৯ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ। গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত শনাক্তের মোট হার ১৬ দশমিক ৬৪ শতাংশ।
বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে মঙ্গলবার ৭৯৯টি ল্যাবরেটরিতে ২৭ হাজার ২৩৩টি নমুনা পরীক্ষার তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। শনাক্তের হার ছিল ৯ দশমিক ৬৯ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই সংখ্যা ৮৪ দিন পর সর্বনিম্ন। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ২৬ হাজার ৭৩৬ জনে।
২৪ ঘণ্টায় মৃত ৫২ জনের মধ্যে পুরুষ ২০ জন ও নারী ৩২ জন। শতাংশের হিসাবে প্রায় ৬২ শতাংশই নারী। এ নিয়ে টানা দুইদিন পুরুষের চেয়ে নারীর মৃত্যু বেশি হলো।
একই সময়ে নতুন আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন দুই হাজার ৪৯৭ জন। এ নিয়ে মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ২২ হাজার ৩০২ জনে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন তিন হাজার ৮৪০ জন। এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা ১৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৯৪ জন। সুস্থতার হার ৯৬ দশমিক ২১ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ৫২ জনের মধ্যে বিশোর্ধ্ব তিনজন, ত্রিশোর্ধ্ব তিনজন, চল্লিশোর্ধ্ব আটজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ১৪ জন, ষাটোর্ধ্ব ১৬ জন, সত্তরোর্ধ্ব ছয়জন ও আশি-ঊর্ধ্ব দুইজন রয়েছে।
বিভাগওয়ারী হিসাবে দেখা গেছে, ঢাকা বিভাগে ২০ জন, চট্টগ্রামে ১৫ জন, রাজশাহীতে একজন, খুলনায় ৯ জন, বরিশালে দুইজন, সিলেটে তিনজন ও রংপুর বিভাগে দুইজনের মৃত্যু হয়।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম তিনজনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।
এমইউ/বিএ/এএসএম