ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

দেশে এখনও ২৪.৪ শতাংশ জনগোষ্ঠী নিরক্ষর: রাষ্ট্রপতি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৮:৪৮ এএম, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২১

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, জীবন-জীবিকা নির্বাহে পিছিয়ে পড়ার অন্যতম কারণ নিরক্ষরতা। বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে একথা বলেন তিনি।

রাষ্ট্রপতি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে বয়স্ক সাক্ষরতার হার ৭৫ দশমিক ৬ শতাংশ, অর্থাৎ ২৪ দশমিক ৪ শতাংশ জনগোষ্ঠী এখনও নিরক্ষর। সরকার দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার সার্বিক উন্নয়নের পাশাপাশি সাক্ষরতা ও দক্ষতা উন্নয়নে বহুমুখী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর মাধ্যমে মুজিব জন্মশতবার্ষিকীতে ১৫-৪৫ বছর বয়সী ২১ লাখ নিরক্ষর জনগোষ্ঠীকে সাক্ষরতা প্রদানের কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে। একই সঙ্গে, ৮-১৪ বছর বয়সী পর্যন্ত বিদ্যালয় হতে ঝরে পড়া শিক্ষার্থী এবং যারা কখনও স্কুলে পড়াশুনা করেনি এমন ১০ লাখ শিশুর শিক্ষা প্রদান কার্যক্রম চলমান আছে।

‘আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস’ পালনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন, এবারের আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবসের প্রতিপাদ্য ‘Literacy for human-centred recovery: Narrowing the digital divide’ বর্তমান প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।

তিনি বলেন, সমগ্র বিশ্ব আজ মহামারির কারণে বিপর্যস্ত। মহামারির কারণে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো আমাদের দেশেও শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা দুরূহ হয়ে পড়েছে। স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়সহ উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা সেন্টার গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের শিখন কার্যক্রমের ঘাটতি পুষিয়ে নিতে ‘সংসদ বাংলাদেশ টেলিভিশন’ ও ‘বাংলাদেশ বেতার’-এর মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষার বিষয়ভিত্তিক পাঠদান অনুষ্ঠান ‘ঘরে বসে শিখি’ প্রচারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, শিক্ষিত জনগোষ্ঠী দেশের সম্পদ। ‘উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা আইন-২০১৪’ মানবসম্পদ উন্নয়ন, জীবনব্যাপী শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি, উপানুষ্ঠানিক ধারায় বৃত্তিমূলক শিক্ষা, উদ্যোক্তা উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানমূলক প্রশিক্ষণ এবং তথ্যপ্রযুক্তিসহ সাক্ষরতা প্রদানের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। দেশের বিশাল কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীকে যথাযথ শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে দক্ষ জনসম্পদে পরিণত করে বাংলাদেশকে উন্নয়নের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে আমি সরকারের পাশাপাশি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, বেসরকারি সংস্থা, সুশীল সমাজসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছি।

এইচএস/জেডএইচ/এমএস