সারাদেশে একযোগে ভেজালবিরোধী অভিযানে র্যাব
ভেজাল, মানহীন ও অস্বাস্থ্যকর খাদ্যপণ্য উৎপাদন, মজুত ও বিক্রির অভিযোগে অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী র্যাবের সব ব্যাটালিয়ন দায়িত্বপ্রাপ্ত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করছে।
মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিষয়টি জাগো নিউজকে জানিয়েছেন র্যাব সদর দপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
তিনি বলেন, সারাদেশে আজ সকাল থেকে ভেজাল, মানহীন ও অস্বাস্থ্যকর খাদ্যপণ্য উৎপাদন, মজুত ও বিক্রির অভিযোগে অভিযান শুরু হয়েছে। র্যাবের ১৫টি ব্যাটালিয়ন একযোগে অভিযানে নেমেছে। অভিযানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হচ্ছে।
র্যাব-১০ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এএসপি এনায়েত কবির সোয়েব জাগো নিউজকে বলেন, সকাল থেকে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী ও শ্যামপুর এলাকায় ভেজাল এবং অস্বাস্থ্যকর খাবার উৎপাদন, মজুত ও বিক্রির অভিযোগে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত চলমান রয়েছে। এখন পর্যন্ত কয়েক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
র্যাব-২ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) ফজলুল হক জাগো নিউজকে বলেন, মোহাম্মদপুর এলাকায় ভেজাল ও অস্বাস্থ্যকর খাবার উৎপাদন, মজুত ও বিক্রির অভিযোগে র্যাব-২ এর অভিযান চলছে।
এর আগে রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) সারাদেশে একযোগে বিভিন্ন সরকারি অফিসের সামনে সক্রিয় দালাল চক্রের সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে দালাল চক্রের প্রায় পাঁচশ সদস্যকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
দালালদের অভিযানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন, পাসপোর্ট অফিস, বিআরটিএ অফিস এলাকাসহ পরিচালিত ৬৮টি ভ্রাম্যমাণ আদালতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা ২৪৮ জন দালালকে ৯ লাখ টাকা জরিমানা করেন। এছাড়া ২৪৯ দালালকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দালাল চক্রের সদস্যরা তাদের কৃতকর্মের কথা স্বীকার করেন। দালাল চক্রের বিরুদ্ধে ভবিষ্যতেও নজরদারি ও অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানায় র্যাব।
টিটি/এমআরআর/জিকেএস