ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

স্মৃতিসৌধে লাখো মানুষের ঢল

প্রকাশিত: ০৭:৩০ এএম, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৫

মহান বিজয় দিবস আজ। জাতির শ্রেষ্ঠ গৌরব ও উজ্জ্বলতার অনন্য দিন আজ। নয় মাসের সংগ্রাম আর রক্তের বিনিময়ে বহু কাঙ্ক্ষিত এই দিনটি এসেছে। যাদের রক্তের বিনিময়ে এই দিনটি সেই বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে লাখো মানুষের ঢল নেমেছে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে মানুষের ভিড়।

বুধবার সকালে রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সাভার স্মৃতিসৌধ সবার জন্য উন্মুক্ত করা হয়। তারপরই স্মৃতিসৌধে নেমে আসে লাখো মানুষের ঢল। ইতিমধ্যে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠেছে জাতীয় স্মৃতিসৌধ। সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা জানাচ্ছে বিভিন্ন দল, সংগঠনসহ সর্বস্তরের সাধারণ জনতা।

savar

ছুটির দিনে সকালেই অনেকেই চলে এসেছেন স্মৃতিসৌধে। এসেছেন বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে বিদেশিরাও। ভিনদেশিরা তাদের অবাচনিক ভাষায় দুই আঙ্গুলে ভি চিহ্ন তুলে উচ্ছ্বলতার সাথে প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের গৌরবান্বিত এ জয়কে।

শহীদদের সম্মান জানাতে অনেকে পরিবার নিয়ে এসেছেন। বন্ধু-বান্ধবরা একসঙ্গে এসেছেন। বিজয়ের এই দিনে অনেকেই তাদের স্মৃতি ক্যামেরার ফ্রেম বন্দি করতে শুরু করেছেন। সেলফি, ছবি তুলতে অনেকেই ব্যস্ত সময় পার করছেন। স্মৃতিসৌধের বেদিতে সম্মান জানিয়ে ছবি তুলছেন দলবদ্ধ হয়ে।

জয়নাল আবেদীন গাবতলীতে থাকেন। তিনি তার তার পরিবার নিয়ে সকাল ১১টার দিকে এসেছেন স্মৃতিসৌধে। সারদিন থাকবেন এখানে। জানালেন তিনি প্রতিবছর স্মৃতিসৌধে আসেন।

রবিউল শিকদার সাভারের ব্রাক স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র, সেও প্রতিবছর এখানে আসে। সারদিন স্মৃতিসৌধে থাকে। নিজের ভালো লাগা থেকে সে এখানে আসে।

savar

নানা স্লোগানে মুখর হয়েছে জাতীয় স্মৃতিসৌধের বাতাস। অনেকেই এসেছেন ব্যান্ড দল নিয়ে। ব্যান্ড দলের শিল্পীরা তাদের গানের তালে এক সাগরে রক্তের বিনিময়ে বাংলার স্বাধীনতা আনল যারা, আমরা তোমাদের ভুলব না’ গানের সুর তুলছেন।ছোট বড় অনেকে মুখে, হাতে পতাকা, স্মৃতিসৌধের আল্পনা আঁকিয়ে নিচ্ছেন। সম্মাননা জানানো শেষে ঘুরে দেখছেন স্মৃতিসৌধের ৮৪ একর জমি।

savar

মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা জানাতে শিশু কিশোররা সেজেছে যোদ্ধার সাজে। তাদের সজ্জায় পাক হানাদার বাহিনীর ধরাশয়ের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। কাদা আর লাল রঙে মুক্তিযুদ্ধের আবহ তৈরি করা হয়েছে।

এআরএস/এমএস