ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

মায়ের ‘আত্মত্যাগে’ সুস্থতার পথে চট্টগ্রামের সেই ছেলে

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১০:৫৭ এএম, ১৭ আগস্ট ২০২১

মা ও ছেলে দুজনেই করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত। মায়ের শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে তাকে নেয়া হয় নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে (আইসিইউ)। এদিকে ছেলের অবস্থাও খারাপ হলে কোথাও আইসিইউ বেড পাওয়া যাচ্ছিল না। শেষ পর্যন্ত পরিবারের সিদ্ধান্তে মাকে সাধারণ বেডে নামিয়ে ছেলেকে রাখা হয় আইসিইউতে। এর কয়েক ঘণ্টা পর মায়ের মৃত্যু হয়।

মায়ের এমন আত্মত্যাগের ফলে দীর্ঘ প্রায় ২০ দিন আইসিইউ বেডে চিকিৎসাধীন থেকে এখন সুস্থতার পথে সেই ছেলে। বলছিলাম চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিমুল পাল (৪০) ও তার প্রয়াত মা কানন প্রভা (৬৭) পালের কথা।

মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) সকালে শিমুল পালের শারীরিক অবস্থা জানতে চাইলে জেনারেল হাসপাতালের আইসিইউ ইউনিটের ইনচার্জ ডা. রাজদ্বীপ বিশ্বাস জাগো নিউজকে বলেন, ‘শিমুল পাল অনেকটা সুস্থতার পথে। বড় কোনো অঘটন না হলে এখন পর্যন্ত তিনি আশঙ্কামুক্ত বলা যাচ্ছে। গতকাল (সোমবার) তাকে আইসিইউ বেড থেকে সাধারণ বেডে নামিয়ে আনা হয়েছে। বর্তমানে তার মিনিটে তিন থেকে পাঁচ লিটার অক্সিজেন সাপোর্টের প্রয়োজন হচ্ছে। এতে তার অক্সিজেন লেভেল একশ শতাংশ পর্যন্ত পাওয়া যাচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘তাদের বিষয়টি অত্যন্ত হৃদয়বিদারক। মায়ের আত্মত্যাগের ফলে বর্তমানে ছেলেটি সুস্থতার পথে।’

এদিকে চিকিৎসাধীন শিমুল পাল বলেন, ‘আমার জ্ঞান ফেরার পর দেখছি, ডাক্তার-নার্স সবাই আমাকে অনেক সহযোগিতা করছেন। যার কারণে আমি তাড়াতাড়ি ভালো হয়ে গেছি। উনারা আমাকে সাহস দিয়েছেন। উনারা আমাকে বলেছেন, আমি তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যাব।’

জানা গেছে, চট্টগ্রাম নগরের নগরের দিদার মার্কেট সিঅ্যান্ডবি কলোনি এলাকার বাসিন্দা শিমুল পাল ও তার মা কানন প্রভা পাল। গত জুলাই মাসে করোনায় আক্রান্ত হয়ে দুজনেই ভর্তি হন চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় আইসিইউ বেডে নেয়া হয় কানন প্রভাকে। কয়েক দিন পর শিমুল পালেরও প্রয়োজন হয় আইসিইউ। কিন্তু আইসিইউ বেড পাওয়া যাচ্ছিল না কোথাও।

শেষ পর্যন্ত পারিবারিক সিদ্ধান্তে ২৭ জুলাই কানন প্রভাকে আইসিইউ থেকে নামিয়ে শিমুলকে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পর কানন প্রভার মৃত্যু হয়। এরপর থেকে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন শিমুল পাল। প্রায় ২০ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর এখন সুস্থতার পথে রয়েছেন শিমুল।

মিজানুর রহমান/এআরএ/জিকেএস