আগের ভাড়ায় চলবে বাস, বাড়তি ভাড়ায় লঞ্চ!
চলমান করোনা পরিস্থিতিতে আগামী বুধবার (১১ আগস্ট) থেকে আসন সংখ্যার সমপরিমাণ যাত্রী নিয়ে বাস, ট্রেন ও লঞ্চ চলাচল করবে। এতে বাসে বর্ধিত ভাড়া না থাকলেও লঞ্চে তা বহাল থাকছে।
রোববার (৮ আগস্ট) বিকেলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব রেজাউল ইসলাম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে গণপরিবহন চলাচলের কথা জানানো হয়।
বাড়তি ভাড়া কমানো নিয়ে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) বলছে, ওই প্রজ্ঞাপনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাত্রী পরিবহনের কথা বলা হয়েছে। আপাতত বর্ধিত ভাড়াই বহাল থাকবে। ভাড়া কমাতে হলে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় নতুন করে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেবে।
রেলপথ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, আগামী বুধবার কমলাপুর থেকে আন্তঃনগর ট্রেন ৩৮ জোড়া এবং ২০ জোড়া মেইল বা কমিউটার ট্রেন চলাচল করবে। আগামীকাল সোমবার (৯ আগস্ট) সকাল ৮টা থেকে টিকিট বিক্রি শুরু হবে। আগের দামেই অনলাইনে এবং কাউন্টার থেকে টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন যাত্রীরা।
রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন এ বিষয়ে বলেন, আমরা কখনই রেলের ভাড়া বাড়াইনি। অর্ধেক যাত্রী যখন পরিবহন করেছি তখনও আগের ভাড়ায় যাত্রীরা চলাচল করেছেন। পুরোনো ভাড়ায় রেল চলবে।
তিনি আরও বলেন, সব আসনে যাত্রী পরিবহন করলেও মাস্ক ছাড়া কেউ ট্রেনে উঠতে পারবে না। যদি কেউ এ আইন লঙ্ঘন করে, তাকে রেল আইনে জরিমানা করা হবে।
অন্যদিকে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ জাগো নিউজকে বলেন, এখন আর বর্ধিত ভাড়া থাকবে না। আগের ভাড়ায় পরিবহন চলাচল করবে।
তিনি বলেন, সরকার মোট পরিবহনের অর্ধেক চলাচল করার কথা বলছে। কিন্তু কে গুনবে কোন পরিবহনের কয়টা বাস চলছে? এ বিষয়টা সংশ্লিষ্টদের ভাবা দরকার।
বর্ধিত ভাড়ায় চলবে লঞ্চ
স্বাস্থ্যবিধি মানার অজুহাতে লঞ্চে বর্ধিত ভাড়া অর্থাৎ ৬০ শতাংশ ভাড়া বেশি নেয়া হবে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেছেন, যেহেতু স্বাস্থ্যবিধি মেনে লঞ্চ চলার নির্দেশনা রয়েছে তাই স্বাস্থ্যবিধি মানতে গিয়ে আমরা যে ভাড়া বাড়িয়েছি সেটিই বহাল থাকবে। আমরা এখন পর্যন্ত এ সিদ্ধান্তে আছি। ভাড়া পুনর্নির্ধারণ করতে হলে তো নতুন করে একটি বৈঠক বা মিটিং করতে হবে। সে জন্য বলব বর্ধিত ভাড়াই চলমান রয়েছে।
লঞ্চে বর্ধিত ভাড়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, লঞ্চে ভাড়া নির্ধারণ যে পদ্ধতিতে আছে সে হিসেবে কিছু আসন ফাঁকা থাকার কথা। কারণ ৫০ ভাগ আসন ফাঁকা রেখেই ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। এখন অবৈধটাকে বৈধ করা যাবে না।
এমএমএ/এমএইচআর/এমএস