মিরপুরে ১২টার মধ্যেই সব টিকা শেষ
করোনা সংক্রমণ রোধে আজ থেকে সারাদেশে শুরু হয়েছে গণটিকা কর্মসূচি। প্রথমদিনই গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি উপেক্ষা করে শত শত মানুষ উপস্থিত হয়েছেন রাজধানীর বিভিন্ন ওয়ার্ডের কেন্দ্রগুলোতে। এ কার্যক্রমে নগরবাসীর ব্যাপক সাড়া দেখা গেছে। সকাল ১০টায় টিকাদান শুরু হয়ে দুই ঘণ্টায়ই বিভিন্ন কেন্দ্রে সাড়ে ৩০০ টিকা প্রদান সম্পন্ন হয়েছে।
শনিবার (৭ আগস্ট) মিরপুরের কয়েকটি ওয়ার্ড ঘুরে দেখা গেছে, নির্দিষ্ট সময়ের আগেই কেন্দ্রগুলোতে নারী-পুরুষের ভিড়। ২৫ বয়সের ঊর্ধ্বে টিকা দেয়ার নির্দেশনা থাকলেও কোথাও প্রথমদিন ৬০ বছরের নিচে কাউকে টিকা দেয়া হয়নি। কেন্দ্রগুলোতে সাড়ে ৩০০ করে টিকা দেয়া হলেও মাত্র দুই ঘণ্টার ব্যবধানে টিকা শেষ হয়েছে বলে ওয়ার্ড কমিশনাররা জানিয়েছেন।
বেলা সাড়ে ১১টায় মিরপুর-২ নং ওয়ার্ড ঘুরে দেখা গেছে, গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি উপেক্ষা করেই টিকা নিতে আসছেন বাসিন্দারা। বয়স্ক ও শারীরিক প্রতিবন্ধীদের দেয়া হচ্ছে টিকা। ৬০ বছরের কম বয়সীদের আগামীকাল আসতে বলা হয়েছে।
টিকা প্রদানে সাহায্যকারী ভলান্টিয়ার সাইফুল বলেন, ‘আজ বয়স্কদের জাতীয় পরিচয়পত্র দেখে টিকা দেয়া হচ্ছে। প্রথম ডোজ টিকা দেয়ার পর আগামী মাসের ৭ তারিখ তাদের দ্বিতীয় ঢোজের দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘টিকা নিতে কোনো রেজিস্ট্রেশন লাগছে না। যারা অন্য কেন্দ্রে রেজিস্ট্রেশন করেছেন তারা এখানে টিকা দিতে পারবেন না।’
এই ওয়ার্ডের কমিশনার মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘সকাল ১০টা থেকে টিকা কার্যক্রম শুরু হয়। আজ সাড়ে ৩০০ টিকা পেয়েছিলাম। দুপুর ১২টার মধ্যেই সব শেষ হয়েছে। আগামীকাল থেকে আবার টিকা কার্যক্রম শুরু হবে।’ টিকা কম থাকায় প্রথমদিন বয়স্কদের টিকা দেয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে বিভিন্ন কেন্দ্রে টিকা নিতে এসে ভিড় করেন অনেকেই। তাদের সামলাতে হিমশিম খেতে হয় নিরাপত্তাকর্মীদের।
টিকা নেয়ার পর অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা আবুল কালাম বলেন, ‘সুন্দর পরিবেশে নির্বিঘ্নে টিকা নিতে পেরেছি। কোনো সমস্যা হয়নি।’
মিরপুর-১০ নম্বরের ১৩ নং ওয়ার্ডে দেখা গেছে, বেশ সুশৃঙ্খল পরিবেশ চলছে টিকা কার্যক্রম। সিটি করপোরেশনের স্বেচ্ছাসেবীরা নারী ও পুরুষের পৃথক লাইন করে তাদের কেন্দ্রে প্রবেশ করাচ্ছেন।
এ ওয়ার্ডের কমিশনার ইসমাইল মোল্লা বলেন, ‘সুন্দরভাবে টিকা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। বীর মুক্তিযোদ্ধা, বৃদ্ধদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
সারাদেশে ২৫ বছর ও তদূর্ধ্ব জনগোষ্ঠী, নারী, শারীরিক প্রতিবন্ধী ও দুর্গম এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষকে প্রাধান্য দিয়ে আজ থেকে শুরু হয়েছে গণটিকা কার্যক্রম। দেশের চার হাজার ৬০০টি ইউনিয়নে, এক হাজার ৫৪টি পৌরসভায় এবং সিটি করপোরেশন এলাকার ৪৩৩টি ওয়ার্ডে একযোগে টিকা দেয়া হচ্ছে।
এসএম/ইএ/জিকেএস