করোনায় প্রাণহানি ২২ হাজার ছাড়াল
দেশে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ ও মৃত্যুর মিছিল ক্রমেই দীর্ঘ হচ্ছে। এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে এখন পর্যন্ত সরকারি হিসাবে ২২ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হলো।
এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে আরও ২৪৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২২ হাজার ১৫০ জনে।
এছাড়া একই সময়ে নতুন করে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও ১২ হাজার ৬০৬ জন। এ নিয়ে দেশে মোট শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৩ লাখ ৩৫ হাজার ২৬০ জনে।
শুক্রবার (৬ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৪৮ হাজার ৮০২টি ও পরীক্ষা করা হয়েছে ৪৮ হাজার ১৫টি। দেশে এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৮০ লাখ ৪৩ হাজার ৬৯৩টি।
নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ২৬ দশমিক ২৫ শতাংশ। মোট পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৬০ শতাংশ।
২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১৫ হাজার ৪৯৪ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা ১১ লাখ ৭২ হাজার ৪৩৭ জন।
বিভাগভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ঢাকায় ৬৯, চট্টগ্রামে ৭৫, রাজশাহীতে ১৬, খুলনায় ৩৬, বরিশালে ২০, সিলেটে ১৬, রংপুরে ৮ এবং ময়মনসিংহে ৮ জন মারা গেছেন।
মৃত ২৪৮ জনের মধ্যে পুরুষ ১৩৮ এবং নারী ১১০ জন। এদের মধ্যে ৬ জন বাসায় মারা গেছেন। বাকিরা হাসপাতালে মারা গেছেন। এ পর্যন্ত ভাইরাসটিতে মোট মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষ ১৪ হাজার ৮২২ এবং নারী ৭ হাজার ৩২৮ জন।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ১২৮ জনের বয়স ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া ৫১ থেকে ৬০ বছরের ৬২, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ৩২, ৩১ থেকে ৪০ বছরের ১৯ এবং ২১ থেকে ৩০ বছরের ৭ জন মারা গেছেন।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম তিন জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।
এমইউ/এমআরআর/এএসএম