ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

টিকা নিতে ৩০ হাজার নিবন্ধন কুর্মিটোলা হাসপাতালে

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৯:০৪ পিএম, ০৫ আগস্ট ২০২১

রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে করোনা ভ্যাকসিনের জন্য ৩০ হাজার মানুষ নিবন্ধন করেছেন। এজন্য তাদের কাছে এসএমএস যেতে দেরি হচ্ছে। আর এসএমএস না গেলে কোনোভাবেই টিকা দেয়া যাচ্ছে না। এসএমএস পাওয়া ব্যক্তিদের দিনে ১৫’শ জনকে টিকা দেয়া হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে সরেজমিন দেখা গেছে, করোনার নিবন্ধনের পর এক থেকে দেড় মাস কেটে গেলেও এসএমএস না পেয়ে শত শত লোক সেখানে ভ্যাকসিন নেয়ার জন্য যাচ্ছেন।

রাজধানীর বারিধারা থেকে যাওয়া কুলসুম বেগম (৪৩) জাগো নিউজকে বলেন, প্রায় একমাস আগে নিবন্ধন করলেও এসএমএস পাইনি। তাই এখন নিজেই টিকা নিতে এসেছি। কিন্তু এসএমএস ছাড়া টিকা দেয়া হচ্ছে না।

এ বিষয়ে সেখানে কর্মরত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জাগো নিউজকে বলেন, হাসপাতালটির অনেক সুনাম আছে। তাই টিকাদানের জন্য ৩০ হাজার হাজার নিবন্ধন করেছেন। আমরা প্রতিদিন ১৫’শ জনকে টিকা দিচ্ছি। আর অনেকে জাতীয় পরিচয়পত্র এনেও টিকা নিতে চাচ্ছেন।

কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কঠোর নির্দেশ আছে এসএমএস না পেলে টিকা দেয়া যাবে না। কারণ এতে সার্টিফিকেট পেতে সমস্যা হতে পারে। আর দুইটি টিকা নেয়ার পরও সার্টিফিকেট না পেলে হাসপাতালের দুর্নাম হবে। শুক্রবার ও অন্যান্য সরকারি ছুটির দিন ছাড়া সকাল আটটা থেকে দুপুর দুইটা পর্যন্ত টিকা কার্যক্রম চলে।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ৫০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালটিতে করোনারোগীদের জন্য নির্ধারিত শয্যা ৩০০টি। আর সাধারণ শয্যা রয়েছে ৩৮২টি। করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় সেখানে শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধি করেও সামাল দিতে পারছে না কর্তৃপক্ষ। ১০টি আইসিসিইউ শয্যা থাকলেও একটিও ফাঁকা নেই।

সেখানে যাওয়া রোগীর স্বজন ও অ্যাম্বুলেন্সের ড্রাইভারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মুমূর্ষু করোনারোগীদের ভর্তি করানোর জন্য এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতাল ছোটাছুটি করছেন তারা।

কুমিল্লার নবীনগর থেকে আসা অ্যাম্বুলেন্সের ড্রাইভার মো. রুবেল জানান, তাদের কোম্পানিতে তিনটি অ্যাম্বুলেন্স আছে। এখন প্রতিদিনই তারা করোনারোগী বহন করছেন। আগের চেয়ে এখন তাদের কাজ বেড়ে গেছে।

রাজধানীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতাল থেকে সেখানে নেয়া হয়েছে করোনারোগী আলহাজ আব্দুল লতিফকে (৭৫) । তার শ্যালক শামসুল হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, শয্যার অভাবে তাকে সেখানে ভর্তি করানো যাচ্ছে না।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে করোনার চিকিৎসা দেয়া হয় না। কিন্তু এখানে আনলাম। ভেতরে খবর দেয়ায় একজন নার্স এসে তার তাপমাত্রা ও অক্সিজেন মেপে গেলেন। কবে কখন কীভাবে ভর্তি করাতে পারব জানি না।

এইচএস/এমএসএম/এমআরএম/এএসএম