পটিয়ায় রেজিস্ট্রেশন ছাড়া টিকাদান, প্রতিবেদন জমা
চট্টগ্রামের পটিয়ায় রেজিস্ট্রেশন ছাড়া টিকাদানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ইপিআই) মো. রবিউল হোসেনের বিরুদ্ধে গঠিত তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। মূল তিন পৃষ্ঠার সঙ্গে সংযুক্তিসহ মোট ৩৮ পৃষ্ঠার এ প্রতিবেদন জমা দেয়া হয় বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয়ে।
মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) প্রতিবেদন জমা দেয়ার বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন তদন্ত কমিটির সদস্য ও চট্টগ্রাম জেলার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মো. আসিফ খান।
তিনি বলেন, ‘গতকাল (সোমবার) বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের দফতরে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়েছে। তদন্ত চলাকালে আমরা তিনটি বিষয়ে কাজ করেছি। প্রথমত টিকা দেয়ার বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ থেকে অনুমতি নেয়া হয়েছে কি-না, দ্বিতীয়ত টিকাদানে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়েছে কি-না এবং সর্বশেষ এক্ষেত্রে কোনো আর্থিক লেনদেন হয়েছে কি-না। এসব বিষয়ে যথাযথ তদন্ত শেষে আমরা প্রতিবেদন জমা দিয়েছি।’
প্রতিবেদনে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে কি না জানতে চাইলে তিনি মন্তব্য করতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
এদিকে অভিযোগের বিষয়ে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের একটি সূত্র জানায়, তদন্তে অভিযুক্ত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইপিআই মো. রবিউল হোসেনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের মধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি এবং রেজিস্ট্রেশন ছাড়া টিকাদানে সত্যতা পাওয়া গেছে। শিগগিরই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এর আগে গত ৩১ জুলাই পটিয়ায় রেজিস্ট্রেশন ছাড়া টিকাদানের বিষয়ে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীরের স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে তদন্ত কমিটি গঠনের বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়।
তদন্ত কমিটিতে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. অজয় দাশকে প্রধান এবং ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মো আসিফ খান ও সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ডা. নুরুল হায়দারকে সদস্য করা হয়। কমিটিকে দুই কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছিল।
ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, গত ৩০ ও ৩১ জুলাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে সিনোফার্মের কিছু টিকা সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এসব টিকা ইউনিয়ন পর্যায়ে নিবন্ধনবিহীন লোকজনকে দেয়া হয়েছে। এজন্য জেলা, উপজেলা বা বিভাগীয় পর্যায় থেকে অনুমতি নেয়া হয়নি। এ বিষয়ে সরেজমিনে তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হলো।
মিজানুর রহমান/এমআরএম/এমএস