ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

ফেলানী হত্যা: আবারও শুরু হচ্ছে পুনর্বিচার

প্রকাশিত: ০২:০৫ পিএম, ১৪ নভেম্বর ২০১৪

প্রায় দেড় মাস মুলতবি থাকার পর আবারও শুরু হচ্ছে বহুল আলোচিত ফেলানী হত্যা মামলার পুনর্বিচার। ভারতের কুচবিহারের সোনারী এলাকায় বিএসএফের সেক্টর সদর দপ্তরে স্থাপিত জেনারেল সিকিউরিটি ফোর্স আদালতের কার্যক্রম প্রায় দেড় মাস মুলতবি থাকার পর আগামী সোমবার (১৭ নভেম্বর) থেকে পুনরায় শুরু হচ্ছে।
 
ওই আদালতে সোমবার ভারতীয় সময় সকাল ১০টায় ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলামের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে। এজন্য রোববার কুচবিহারে যাবেন ফেলানীর বাবা। তার সাথে থাকবেন কুড়িগ্রামের পাবলিক প্রসিকিউটর আব্রাহাম লিংকন এবং ৪৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডিং অফিসার মেজর এটিএম হেমায়েতুল ইসলাম।
 
এ বিষয়ে মেজর এটিএম হেমায়েতুল ইসলাম জানান, শুক্রবার দুপুর দেড়টার দিকে বিএসএফের ১৮১ ব্যাটালিয়নের কমান্ডেন্ট ভিপি বাদলা চিঠি মারফত জেনারেল সিকিউরিটি ফোর্স আদালতের কার্যক্রম পুনরায় শুরু এবং ওই আদালতে সোমবার ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলামের সাক্ষ্য গ্রহণের কথা জানিয়েছেন। এজন্য রোববার সকালে ফেলানীর বাবা, পাবলিক প্রসিকিউটর এবং তিনি নিজে কুচবিহারের উদ্দেশে রওনা দিবেন।
 
বিজিবি সূত্রে জানা যায়, মামলাটির পুনর্বিচারের সিদ্ধান্ত হওয়ার এক বছর পর গত ২২ সেপ্টেম্বর পুনর্বিচার কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। কিন্তু পুনর্বিচার কার্যক্রমের পঞ্চম দিনে (২৬ সেপ্টেম্বর) আকস্মিকভাবে আদালতের কার্যক্রম মুলতবি ঘোষণা করা হয়। এদিন সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম, পাবলিক প্রসিকিউটর আব্রাহাম লিংকন ও ৪৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের তৎকালীণ কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল মোফাজ্জল হোসেন আখন্দ কুচবিহারের উদ্দেশে রওনা হওয়ার পর মাঝপথ থেকে ফিরে এসেছিলেন।
 
উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি ভোরে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার অনন্তপুর সীমান্ত দিয়ে দেশে ফেরার সময় ভারতের চৌধুরীহাট বিএসএফ ক্যাম্পের কনস্টেবল অমিয় ঘোষ কিশোরী ফেলানীকে গুলি করে হত্যা করে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ২০১৩ সালের ১৩ আগস্ট ভারতের কুচবিহার জেলা সদরের সোনারী এলাকায় অবস্থিত ১৮১ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের সদর দপ্তরে স্থাপিত জেনারেল সিকিউরিটি ফোর্স আদালতে ফেলানী হত্যার বিচার শুরু হয়। এই আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছিলেন ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম ও মামা আব্দুল হানিফ। এই বিচারে অভিযুক্ত বিএসএফ সদস্যকে নির্দোষ ঘোষণা করে রায় দিয়েছিল ওই  আদালত।