করোনায় আজও ১২ হাজারের বেশি শনাক্ত
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃত্যুর মিছিল ক্রমেই দীর্ঘ হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হিসেবে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও ১২ হাজার ২৩৬ জন। এ নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ লাখ ৭১ হাজার ৭৭৪ জনে।
একই সময়ে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে আরও ২২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৭ হাজার ২৭৮ জনে।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে বুধবার (১৪ জুলাই) ২৪ ঘণ্টায় ১২ হাজার ৩৮৩ জন রোগী শনাক্তের তথ্য জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদফতর। একই সময়ে মৃত্যু হয় ২১০ জনের।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ৬২৭টি ল্যাবরেটরিতে ৪৬ হাজার ৬০৪টি নমুনা সংগ্রহ ও ৪৪ হাজার ৯৪১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়াল ৭১ লাখ ৪৪ হাজার ৭২০টি।
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ২৭ দশমিক ২৩ শতাংশ। গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত শনাক্তের মোট হার ১৫ শতাংশ।
এদিকে, ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আট হাজার ৩৯৫ জন। এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা নয় লাখ পাঁচ হাজার ৮০৭ জন। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থতার হার ৮৪ দশমিক ৫১ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ২২৬ জনের মধ্যে বয়সের হিসাবে দশোর্ধ্ব একজন, বিশোর্ধ্ব ছয়জন, ত্রিশোর্ধ্ব ১২ জন, চল্লিশোর্ধ্ব ৩৬ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ৪৯ জন, ষাটোর্ধ্ব ৫০ জন, সত্তরোর্ধ্ব ৪৪ জন, আশি ঊর্ধ্ব ২২ জন, নব্বইয়ের বেশি বয়সী তিনজন এবং শতবর্ষের বেশি বয়সী দুজন রয়েছেন।
বিভাগওয়ারী হিসাবে দেখা গেছে, ঢাকা বিভাগে ৭৪ জন, চট্টগ্রামে ৪২, রাজশাহীতে ২৪, খুলনায় ৫২, বরিশালে ছয়জন, সিলেটে পাঁচজন, রংপুরে ১৩ জন ও ময়মনসিংহ বিভাগে ১০ জন।
বাংলাদেশে করোনা প্রথম শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। এর ১০ দিন পর ভাইরাসটিতে একজনের মৃত্যুর তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদফতর।
এমইউ/এএএইচ/জিকেএস