মহাখালী বাস টার্মিনালে ঘরমুখো মানুষের ভিড়
রাজধানীর মহাখালী বাস টার্মিনালে বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) সকাল থেকে ঘরমুখো যাত্রীদের ভিড় লেগেছে। কিছুক্ষণ পরপরই টার্মিনাল থেকে যাত্রী নিয়ে বের হচ্ছে আন্তঃজেলার বাস। তবে যাত্রী এবং চালকদের অনেকেই স্বাস্থ্যবিধি মানতে উদাসীন।
পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন উপলক্ষে আজ থেকে আট দিনের জন্য লকডাউন শিথিল করেছে সরকার। আগামী ২১ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে ঈদুল আজহা। আর ২৩ জুলাই থেকে ফের লকডাউন শুরু হবে।
পরিবহন মালিকরা জানিয়েছেন, মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে দিনে চার শতাধিক বাস বগুড়া, নওগাঁ, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, রংপুর, দিনাজপুর, বৃহত্তর ময়মনসিংহ তথা নেত্রকোনা, শেরপুর, জামালপুর, টাঙ্গাইল জেলায় চলাচল করে। এছাড়া ওই টার্মিনাল থেকে বৃহত্তর ময়মনসিংহসহ সিলেটে আরও দেড় শতাধিক এনা পরিবহনের বাস যাত্রী পরিবহন করে।
বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখা যায়, মহাখালী বাস টার্মিনালে যাত্রী পরিবহনে তিন শতাধিক দূরপাল্লার বাস সারিবদ্ধভাবে পার্কিং করা রয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী ৬০ শতাংশ ভাড়া বেশি দিয়ে টিকিট কাটছেন যাত্রীরা। প্রতিটি বাসে এক আসন ফাঁকা রেখেই যাত্রীরা বসছেন। এক-দুই মিনিট পরপর টার্মিনাল থেকে বাস ছেড়ে যাচ্ছে। তবে বাসে ওঠার সময় যাত্রীদের মুখে মাস্ক দেখা গেলেও আসনে বসে অনেকেই তা খুলে ফেলছেন। চালক এবং তার সহকারীর বেলায়ও একই চিত্র দেখা গেছে।
মিরপুরের বাসিন্দা নাজমুল হাসান। চার ছেলে-মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে সকাল নয়টায় মহাখালী বাস টার্মিনালে আসেন। ময়মনসিংহগামী এনা পরিবহনের টিকিট কেটে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলেন তিনি। আধা ঘণ্টা অপেক্ষা করার পর তিনি গাড়ি পান।
আলাপকালে নাজমুল হাসান জানালেন, লকডাউনের কারণে দীর্ঘদিন ঢাকার বাসায় ঘরবন্দি রয়েছেন। ছেলে-মেয়েদের স্কুল-কলেজও বন্ধ। এখন লকডাউন শিথিল করায় গ্রামে ঈদ করতে যাচ্ছেন।
এনা পরিবহনের সহকারী ব্যবস্থাপক মো. মাঈন উদ্দিন বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল ছয়টা থেকে তাদের পরিবহনের বাস চলাচল শুরু হয়েছে। সকাল নয়টা পর্যন্ত তাদের ২৫টি বাস যাত্রী নিয়ে বিভিন্ন গন্তব্যে গেছে।
মহাখালী আন্তঃজেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সহ-সভাপতি শওকত আলী বাবুল জাগো নিউজকে বলেন, সকাল থেকেই টার্মিনালে যাত্রীদের চাপ বাড়ছে। টার্মিনালে পর্যাপ্ত বাস রয়েছে। এখন চালক-যাত্রীদের স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে তদারকি করা হবে।
এমএমএ/এমআরআর/এএসএম