লঞ্চের ডেকে মার্কিং অনুযায়ী যাত্রীদের বসতে হবে : নৌপ্রতিমন্ত্রী
শিথিল বিধিনিষেধের মধ্যে বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) থেকে আটদিন লঞ্চ চলাচল করবে। এই সময়ে লঞ্চের ডেকে করা মার্কিং অনুযায়ী যাত্রীদের বসতে হবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
বুধবার (১৪ জুলাই) সচিবালয়ে লঞ্চ, ফেরি ও স্টিমারসহ জলযান চলাচল সংক্রান্ত ঈদ ব্যবস্থাপনা সভা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘বাস, ট্রেনের সিটে নম্বর দেয়া থাকে। লঞ্চের ক্ষেত্রে জটিল। কেবিনগুলো স্বাস্থ্যবিধি পুরোপুরি মানা যায়। ডেকের ক্ষেত্রে কষ্টকর হয়ে যায়। কীভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানা যায়, ডেকগুলোতে মার্কিং করা হয়। এবারও মার্কিং করেছি। ডেকগুলোকে মার্কিং অনুযায়ী বসতে হবে। শতভাগ মাস্ক পরতে হবে। এ ব্যাপারে কোনো ধরনের ছাড় নেই।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা মালিক, বিআইডব্লিউটিএ ও স্থানীয় প্রশাসনকে বলেছি। যেসব লঞ্চ মালিক শিথিলতা দেখাবে তাদের আমরা জরিমানার আওতায় আনব। লঞ্চ মালিকরা লঞ্চের স্টাফদের করোনা পরীক্ষা করে লঞ্চে কাজ করতে দেবেন। নৌখাতকে অগ্রাধিকার দিয়ে তাদের জন্য টিকা দেয়া হয়েছে।’
১৫ থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত লঞ্চ চলবে জানিয়ে খালিদ মাহমুদ বলেন, ‘এটিও কিন্তু বিধিনিষেধের মধ্যে পড়ে গেল। কারণ ২১ জুলাই ঈদ। ২৩ জুলাই থেকে ফের বন্ধ। যাত্রীদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে তিনি ঝুঁকি নিয়ে ঢাকা আসবেন কি-না এবং ঢাকা থেকে বের হয়ে যাবেন কি-না। কারণ যাওয়া ও ফিরে আসাটা ঝুঁকিপূর্ণ। কাজেই এটা চিন্তা করে সবাই যাত্রা করবে বলে আমি মনে করি।’
‘সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ২৩ জুলাই থেকে বিধিনিষেধের মধ্যে কলকারখানা বন্ধ থাকবে। সেক্ষেত্রে লঞ্চের ওপর ফিরতি চাপটা খুবই কম হবে। আমরা বিধিনিষেধ অনুসরণ করার জন্য সব ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছি। আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার প্রস্তুতি নিয়েছি। সবাই যদি সহযোগিতা করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে লঞ্চযাত্রা করতে পারব’ যোগ করেন প্রতিমন্ত্রী।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে মানুষকে সুরক্ষিত রাখা সরকারের জন্য চ্যালেঞ্জ জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এর সঙ্গে সবাইকে যুক্ত হতে হবে। নইলে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা যাবে না। বিধিনিষেধ না মানলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। লঞ্চ মালিকরা ডেকে অতিরিক্ত যাত্রী নিলে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে, কারণ আমরা তো ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, ঈদের একদিন পর থেকে যেহেতু বিধিনিষেধ শুরু হবে তাই ধারণা করছি মানুষ স্থানান্তর কম হবে। যাত্রীর চাপও কম হবে। সবাই ভিড় করলে লঞ্চে জায়গার অভাবে অনেকে যাত্রাবঞ্চিত হবেন। স্বাস্থ্যবিধির ক্ষেত্রে আমরা খুবই কঠোর থাকব।’
গত রোজার ঈদে মানুষ ফেরি দখল করে নিয়েছিল জানিয়ে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘কেউ যদি দখল করে নিয়ে যায় আমরা তো আক্রমণাত্মক হতে পারি না, কারণ আমরা গণতান্ত্রিক সরকার, সামরিক সরকার না। আমরা খুব দুঃখ পেয়েছি জনগণ স্বাস্থ্যবিধিগুলো অমান্য করেছে। এখানে দুঃখ পাওয়া ছাড়া কিছু করার নেই। ফেরিগুলো শুধু যানবাহন পারাপারের জন্য, মানুষ পারাপারের জন্য নয়।’
নৌ-সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘ডেকের ৫০ শতাংশ আসন ফাঁকা থাকবে। ফলে ডেকের ভাড়া ৬০ শতাংশ বেশি নেয়া হবে।’
আরএমএম/এমএস