শনাক্ত ১০ লাখ ছাড়াল
মহামারি করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ ও মৃত্যুর মিছিল ক্রমেই দীর্ঘ হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হিসেবে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন আরও ১১ হাজার ৩২৪ জন। ফলে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ছাড়াল ১০ লাখ ৫৪৩ জনে।
এর আগে বৃহস্পতিবার ১১ হাজার ৬৫১ জনের করোনা শনাক্ত হয়, যা একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্ত। তার আগে মঙ্গলবার ২য় সর্বোচ্চ ১১ হাজার ৫২৫ জন শনাক্ত হয়েছিলেন।
শুক্রবার (৯ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় এ ভাইরাস সারাদেশে আরও ২১২ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৬ হাজার ৪ জনে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, একই সময়ে সরকারি ও বেসরকারি ৬১৩টি ল্যাবরেটরিতে ৩৯ হাজার ২০৯টি নমুনা সংগ্রহ ও ৩৬ হাজার ৫৮৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়ালো ৬৯ লাখ ৩ হাজার ২৬৮টি।
নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ৩০ দশমিক ৯৫ শতাংশ। মোট পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
এ সময়ে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৬ হাজার ৩৮ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৮ লাখ ৬২ জন ৩৮৪ জন।
তাদের মধ্যে পুরুষ ১১৯ ও নারী ৯৩ জন। তাদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৬০, বেসরকারি হাসপাতালে ৩৬ এবং বাসায় ১৬ জন মারা যান।
মৃত ২১২ জনের মধ্যে বয়সের হিসাবে দশোর্ধ্ব ২ জন, বিশোর্ধ্ব ৭ জন, ত্রিশোর্ধ্ব ১৭ জন, চল্লিশোর্ধ্ব ৪০ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ৫৬ জন এবং ষাটোর্ধ্ব ৯০ জন মারা যান।
একই সময়ে করোনায় মৃত ২১২ জনের মধ্যে বিভাগওয়ারি হিসেবে দেখা গেছে, ঢাকায় ৫৩, চট্টগ্রামে ২৬, রাজশাহীতে ২৩, খুলনায় ৭৯, বরিশালে ৫, সিলেটে ৬, রংপুরে ১২ এবং ময়মনসিংহে ৮ জনের মৃত্যু হয়।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।
এমইউ/জেএইচ/এএসএম
সর্বশেষ - জাতীয়
- ১ শীতের কাপড়ের বাজার গরম, কম্বল-কমফোর্টারে ঝোঁক ক্রেতার
- ২ গণঅভ্যুত্থানে আহতদের মানসিক স্বাস্থ্যসেবার আওতায় আনা হবে
- ৩ আজম-পলক পরিবারের ১৩৬ ব্যাংক হিসাব, হাজার কোটির অস্বাভাবিক লেনদেন
- ৪ প্রশাসন ছাড়া অন্য ক্যাডারে বঞ্চিত কর্মকর্তাদের আবেদনের পরামর্শ
- ৫ অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর আস্থা কমেছে ৮ শতাংশ মানুষের