ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

রোকেয়া পদক পেলেন বিবি রাসেল ও তাইবুন নাহার

প্রকাশিত: ০৫:৫৯ এএম, ০৯ ডিসেম্বর ২০১৫

নারী শিক্ষা বিস্তার, নারী অধিকার প্রতিষ্ঠা ও দরিদ্র মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য এ বছর রোকেয়া পদক পেলেন বিবি রাসেল ও ড. তাইবুন নাহান রশীদ (মরণোত্তর)। বুধবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই পদক বিতরণ করেন।

বিবি রাসেল অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে পদক গ্রহণ করেন। প্রয়াত তাইবুন নাহারের পক্ষে তার ছেলে আলী আজগর খুরশীদ পদক নেন। প্রত্যেককে ১৮ ক্যারেট মানের ২৫ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণপদক ছাড়াও এক লাখ টাকা এবং একটি সম্মাননাপত্র দেওয়া হয়।

এর আগে মঙ্গলবার মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় রোকেয়া পদকের জন্য বিবি রাসেল ও তাইবুন নাহারের নাম ঘোষণা করেন।  নারীর উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নসহ দরিদ্র ও অসহায় নারী সমাজের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান এবং সমাজসেবায় গঠনমূলক ভূমিকা রাখার জন্য এবছর এই পদক পেলেন তাইবুন নাহার রশীদ। আর দেশীয় উপাদানে পোশাকের নান্দনিক নকশায় অবদানের স্বীকৃতি হিসাবে বিবি রাসেল এ পুরষ্কারে ভূষিত হন।

বিবি রাসেল ১৯৫০ সালে চট্টগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম মোখলেসুর রহমান সিধু এবং মাতা সামসুন নাহার রহমান। তিনি ১৯৬৭ সালে গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ থেকে এইচএসসি এবং ১৯৭৫ সালে ফ্যাশন ডিজাইনে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। বিবি রাসেল বাংলাদেশের পোশাকশিল্পের উন্নয়ন, ঐতিহ্যবাহী তাঁতশিল্প ও তাঁতীদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কাজ করার জন্য খ্যাতি অর্জন করেছেন। দেশীয় উপাদানে নান্দনিক পোশাক ডিজাইনের অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ২০০৯ সালে বাংলা একাডেমি তাকে সম্মানসূচক ফেলোশিপ দেয়। এছাড়া দেশি-বিদেশি বিভিন্ন সংস্থা-প্রতিষ্ঠান থেকে ফেলোশিপ ও সম্মাননা পেয়েছেন। পরিচ্ছদ ডিজাইনের জন্য বিবি রাসেল ২০১০ সালে বাংলাদেশ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান।  

তাইবুন নাহার রশীদ ১৯১৯ সালের ৫ মে ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি দেশ-বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ও উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেন।১৯৪৭ সালে জলপাইগুড়ি মুসলিম মহিলা সমিতির প্রতিষ্ঠাতা ও কর্মসচিব হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি ১৯৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ১৯৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান ও ১৯৯০-এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। সমাজসেবায়ও ছিলেন তাইবুন নাহার। ১৯৭৭ সালে তিনি সমাজসেবায় অনন্য পদক পান। ১৯৯৫ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত ছিলেন বাংলাদেশ মহিলা সমিতির সহ-সভাপতি।

নারী উন্নয়ন আর সমাজসেবায় অবদানের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সিয়েনাহাইটন বিশ্ববিদ্যালয় তাইবুন নাহারকে সম্মানসূচক ‘ডক্টারস অব হিউম্যান লেটারস’ ডিগ্রি দেয়। শিক্ষানুরাগী এই নারী লেখালেখিতেও খ্যাতি পেয়েছেন। কলকাতার গৌড়বঙ্গ সাহিত্য পরিষদ ১৯৫০ সালে তাইবুন নাহারকে বাংলা সাহিত্যে ‘কবিরত্ন’ উপাধিতে ভূষিত করে।

‘শতাব্দীর মহানায়ক অনন্য মুজিব’, ‘তুমি আর আমি’, ‘মধ্যরাত (উপন্যাস) ১ম খণ্ড’, ‘মধ্যরাত (উপন্যাস) ২য় খণ্ড’, ‘জীবনের ডায়েরী থেকে’, ‘আমার বাবা আমার জীবন’ এবং ‘একটু কিছু বল’ তার উল্লেখযোগ্য রচনা।

জেডএইচ/আরআইপি