ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

কঠোর বিধিনিষেধেও শতভাগ সচল চট্টগ্রাম বন্দর

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১২:২৫ পিএম, ০১ জুলাই ২০২১

সরকারঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধেও শতভাগ সচল রয়েছে দেশের আমদানি-রফতানি বাণিজ্যের ৯২ শতাংশের নিয়ন্ত্রণক চট্টগ্রাম বন্দর। এছাড়াও শুল্কায়নের জন্য খোলা আছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস, ব্যাংকসহ বন্দর সংশ্লিষ্ট অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান।

বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক।

তিনি বলেন, কঠোর বিধিনিষেধে বন্দরের কার্যক্রম সম্পূর্ণ স্বাভাবিক। অপারেশনাল কাজে সবাই যার যার কর্মস্থলে উপস্থিত রয়েছেন। কনটেইনার ওঠানামা হচ্ছে। তবে শুধু যারা বন্দর অফিসে কাজে করেন, তারা নিজেদের মতো ভাগ ডিউটি পালন করছেন। যেখানে ১০ জন দিয়ে কাজ পরিচালনা করা হতো সেখানে তিনজন দিয়ে কাজ চলছে। বিধিনিষেধেও বন্দর সচল রাখতে আমরা যাবতীয় প্রস্তুতি আগে ভাগে নিয়ে রেখেছি।

এর আগে গতকাল (বুধবার) বন্দর পরিচালক (প্রশাসন) মমিনুর রশিদ সই করা ২৭ ধরনের নির্দেশনা সংবলিত একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে কর্তৃপক্ষ।

জানা গেছে, বন্দরে প্রতিদিন গড়ে প্রায় সাত হাজার কনটেইনার হ্যান্ডলিং হয়। আর রাজস্ব আদায় হয় দৈনিক হাজার কোটি টাকা। গত বছর করোনা সংক্রমণের শুরুতে বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। যার কারণে বন্দরের কার্যক্রমে কিছুটা ভাটা পড়েছিল। এছাড়া করোনার প্রস্তুতি কম থাকাতে গত বছরের পরিবহন ও অপারেশনাল কাজ কিছুটা ব্যাহত হয়েছিল।

তবে এবার কঠোর বিধিনিষেধেও দেশের অর্থনীতির চাকা সচলে অবদান রাখা এই বন্দর চালু রাখতে বেশ আগেভাগেই প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) থেকে ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সরকার। এ সময় জরুরি সেবা দেয়া দফতর-সংস্থা ছাড়া সরকারি-বেসরকারি অফিস, যন্ত্রচালিত যানবাহন, শপিংমল-দোকানপাট বন্ধ থাকবে। গণমাধ্যমসহ কিছু জরুরি সেবা এ বিধিনিষেধের আওতাবহির্ভূত থাকবে।

বুধবার (৩০ জুন) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, জরুরি অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিসসমূহের কর্মচারী ও যানবাহন প্রাতিষ্ঠানিক পরিচয়পত্র প্রদর্শন সাপেক্ষে যাতায়াত করতে পারবেন।

প্রজ্ঞাপন অনুসারে যারা চলাচল করতে পারবেন তারা হলেন- আইন-শৃঙ্খলা এবং জরুরি পরিষেবা, যেমন- কৃষি পণ্য ও উপকরণ (সার, বীজ, কীটনাশক, কৃষি যন্ত্রপাতি ইত্যাদি), খাদ্যশস্য ও খাদ্যদ্রব্য পরিবহন, ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্যসেবা, কোভিড-১৯ টিকা প্রদান, রাজস্ব আদায় সম্পর্কিত কার্যাবলি, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস/জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, টেলিফোন ও ইন্টারনেট (সরকারি-বেসরকারি), গণমাধ্যম, বেসরকারি নিরাপত্তা ব্যবস্থা, ডাকসেবা, ব্যাংক, ফার্মেসি ও ফার্মাসিউটিক্যালসসহ অন্যান্য জরুরি অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিসসমূহের কর্মচারী ও যানবাহন।

মিজানুর রহমান/এমআরএম/এএসএম