পাতাল রেল প্রকল্পের কাজ চায় কনটেক
রাজধানীর যানজট নিরসনের জন্য জাইকার দেওয়া মেট্রোরেল নকশার সঙ্গে মিল রেখে পাতাল রেল স্থাপনের নকশার অনুমোদন এবং কাজ চেয়েছে কনটেক লিমিটেডে। মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে এক সংবাদ সম্মেলনে সরকারের কাছে এ দাবি জানানো হয়।
যদিও ২০০২ সালে বাংলাদেশ রেলওয়ে ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয় বেসরকারি উদ্যোগে ঢাকায় পাতাল রেল স্থাপনের জন্য সর্বনিম্ন দরদাতা হওয়ায় কাজটি তারাই পেয়েছিল বলেও জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মোহাম্মদ মাসুদ রেজা বলেন, বিএনপি সরকারের আমলে ২০০২ সালে বাংলাদেশ রেলওয়ে ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয় বেসরকারি উদ্যোগে ঢাকায় পাতাল রেল স্থাপনের জন্য আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করা হয়। এসময় ১১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কনটেক লিমিটেড সর্বনিম্ন দরদাতা হওয়ায় এ প্রকল্পের কাজের জন্য বিবেচিত হয়।
পাতাল রেল স্থাপনের জন্য ছয় রুটে ৫২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যে স্থাপনের একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছিল। প্রকল্প অনুযায়ী ধারণা করা হয়েছিল যে ‘ঢাকা শহরের প্রায় ৮০ ভাগ লোক এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে সহজেই যাতায়াত করতে পারতো।’
সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, বর্তমানে জাইকা যে এমআরটি-৪ ও এমআরটি- ১ নামকরণ করা হয়েছে সেটি পাতাল রেলের নেটওয়ার্কিং অংশবিশেষ। পাশাপশি তিনি সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেন, দেশীয় উদ্যোক্তারাই যেন এসব প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য দায়িত্ব পায়।
সাংবাদিকদেরে এক প্রশ্নের জবাবে মাসুদ রেজা বলেন, যেকোন মেগাসিটিতে আন্ডারগ্রাউন্ড, সারফেন্স (১০০ ফুট নিচে) ও এলিভেটেড (রাস্তার উপরে) এই তিনটি জায়গাই যাতায়তের পথ হিসাবে ব্যবহার হয়। সকল মেগাসিটিতে রাস্তা থাকতে থাকে শতকরা ২৫ থেকে ৩০ ভাগ। অথচ বিশ্বের অন্যতম মেগাসিটি ঢাকায় যাতায়তের জন্য রয়েছে শতকরা ৭ থেকে ৮ ভাগ রাস্তা।
তিনি আরো বলেন, যদি রাস্তার উপরে মেট্রোরেল করা হয় তাহলে ভবিষ্যত সম্প্রসারেণ অসুবিধা হবে। তবে এক তলা নিচ দিয়ে পাতাল রেল করা হলে তা ভবিষ্যতে চাহিদামাফিক সম্প্রসারণ করা যাবে।
এ প্রকৌশলী বলেন, যদি উদ্যোক্তারাই প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্ব পায় তাহলে বিদেশি প্রতিষ্ঠানের ন্যায় দেশীয় প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন কনটেক লিমিটেডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু হুজাইফা ও নির্বাহী প্রকল্প অফিসার সৈয়দা দিলরুবা আফরোজ।
এএস/জেডএইচ/পিআর