বৃহস্পতিবার ভোরেই চট্টগ্রামে নামছে সেনাবাহিনী-বিজিবি-র্যাব
করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) থেকে সারাদেশে শুরু হচ্ছে কঠোর লকডাউন (বিধিনিষেধ)। এই লকডাউনে চট্টগ্রাম জেলায় মোতায়েন করা হচ্ছে সেনাবাহিনী ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এছাড়া মাঠে থাকছে পুলিশ, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও আনসার সদস্যরা।
নগরে তাদের নেতৃত্ব দেবেন ১২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং উপজেলা পর্যায়ে নেতৃত্ব দেবেন নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী কমিশনাররা (ভূমি)। বুধবার (৩০ জুন) বিকেলে জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক।
তিনি বলেন, সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে আগামীকাল মাঠে থাকবেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, র্যাব ও আনসার সদস্যরা। এ বিষয়ে সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসন একটি মিটিং ডেকেছে। মিটিং শেষে সবাইকে যার যার দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়া হবে।
জানা গেছে, করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে আজ (বুধবার) তিনদিনের সীমিত লকডাউন শেষে আগামীকাল (১ জুলাই) থেকে ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সরকার। এ সময় জরুরিসেবা দেয়া দফতর-সংস্থা ছাড়া সরকারি-বেসরকারি অফিস, যন্ত্রচালিত যানবাহন, শপিংমল-দোকানপাট বন্ধ থাকবে। গণমাধ্যমসহ কিছু জরুরি পরিষেবা এ বিধিনিষেধের আওতাবহির্ভূত থাকবে।
এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, জরুরি অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিসসমূহের কর্মচারী ও যানবাহন প্রাতিষ্ঠানিক পরিচয়পত্র প্রদর্শন সাপেক্ষে যাতায়াত করতে পারবেন।
প্রজ্ঞাপন অনুসারে যারা চলাচল করতে পারবেন তারা হলেন- আইন-শৃঙ্খলা এবং জরুরি পরিষেবা, যেমন- কৃষি পণ্য ও উপকরণ (সার, বীজ, কীটনাশক, কৃষি যন্ত্রপাতি ইত্যাদি), খাদ্যশস্য ও খাদ্যদ্রব্য পরিবহন, ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্যসেবা, কোভিড-১৯ টিকা প্রদান, রাজস্ব আদায় সম্পর্কিত কার্যাবলী, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস/জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, টেলিফোন ও ইন্টারনেট (সরকারি-বেসরকারি), গণমাধ্যম, বেসরকারি নিরাপত্তা ব্যবস্থা, ডাকসেবা, ব্যাংক, ফার্মেসি ও ফার্মাসিউটিক্যালসসহ অন্যান্য জরুরি অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিসসমূহের কর্মচারী ও যানবাহন।
বুধবার চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে জেলায় ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৩৯৯ জন।
মিজানুর রহমান/এসএস/এএসএম