শনাক্তের হারও ঊর্ধ্বমুখী, আজ ২৩.৮৬ শতাংশ
করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ৩৫ হাজার ৫৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এই সময়ে করোনা শনাক্ত হয়েছে আট হাজার ৩৬৪ জনের দেহে। এ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে আট লাখ ৯৬ হাজার ৭৭০ জনে।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ২৩ দশমিক ৮৬ শতাংশ। দেশে এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৬৫ লাখ ৪১ হাজার ৮৪০টি।
সোমবার (২৮ জুন) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এই সময়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে আরও ১০৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৪ হাজার ২৭৬ জনে।
এছাড়া গত বছর দেশে করোনা মহামারি শুরুর পর আজ একদিনে রেকর্ড সর্বোচ্চ ৮ হাজার ৩৬৪ জনের করোনা শনাক্ত হলো। এর আগে চলতি বছরের ৭ এপ্রিল সর্বোচ্চ ৭ হাজার ৬২৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ৫৫৪টি ল্যাবরেটরিতে ৩৬ হাজার ৭৮৩টি নমুনা সংগ্রহ ও ৩৫ হাজার ৫৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়াল ৬৫ লাখ ৪১ হাজার ৮৪০টি।
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ২৩ দশমিক ৮৬ শতাংশ। গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত শনাক্তের মোট হার ১৩ দশমিক ৭১ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন তিন হাজার ৫৭০ জন। এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা আট লাখ সাত হাজার ৬৭৩ জন। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থতার হার ৯০ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ১০৪ জনের মধ্যে বয়সের হিসাবে বিশোর্ধ্ব পাঁচজন, ত্রিশোর্ধ্ব চারজন, চল্লিশোর্ধ্ব ১৪ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ২৩ জন ও ষাটোর্ধ্ব ৫৮ জন।
বিভাগওয়ারী হিসাবে দেখা গেছে, ঢাকা বিভাগে ২৭ জন, চট্টগ্রামে ১৯ জন, রাজশাহীতে সাতজন, খুলনায় ৩৫ জন, বরিশালে দুজন, রংপুরে ৯ জন ও ময়মনসিংহ বিভাগে পাঁচজন।
করোনায় গতকাল রোববার ১১৯ জনের মৃত্যুর তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদফতর। এটিই এখন পর্যন্ত দেশে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।
বিএ/এএসএম