রাতের যানজটে নাকাল নগরবাসী
কলেজপড়ুয়া মেয়ের জন্য বই কিনতে বুধবার বিকেলে রাজধানীর নীলক্ষেতে আসেন কল্যাণপুরের বাসিন্দা আহসান আলী। কাজ শেষে তিনি রাত ৮টার দিকে নীলক্ষেত মোড় থেকে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। কিন্তু নিউমার্কেটের অদূরে ঢাকা কলেজের সামনে আসতেই তিনি যানজটে পড়েন।
বাস থেকে গ্লাস সরিয়ে উঁকি দিয়ে দেখেন, যত দূর চোখ যায় বিভিন্ন যানবাহনে ঠাসা রাস্তা। রাস্তার পাশের লেনে দাঁড়িয়ে শত শত রিকশা।
নীলক্ষেত থেকে সায়েন্স ল্যাবরেটরি পর্যন্ত বাসে দু-তিন মিনিটের পথ হলেও, যানজটের কারণে আসতে ২০ মিনিটেরও বেশি সময় লেগে যায়।
যানজটে বাসে বসে থেকে ক্লান্ত-বিরক্ত আহসান আলী বলেন, ‘আজ কী হয়েছে কে জানে! গত কয়েক মাসের মধ্যে এমন যানজট দেখি নাই।’
যানজটের এ দৃশ্য শুধু মিরপুর রোডেই নয়, রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে বুধবার রাতে যানজটে বিপাকে পড়ে নগরবাসী। সরেজমিনে আজিমপুর, নিউমার্কেট, সায়েন্স ল্যাবটেরি, ধানমন্ডি, কলাবাগান, এলিফ্যান্ট রোড, শাহবাগ, বাংলামোটর, মগবাজার, কারওয়ান বাজার ও সার্ক ফোয়ারা এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন রাস্তায় যানবাহনের চাপ অনেক বেশি। যানজটের কারণে বিভিন্ন সড়কের সিগন্যালে ট্রাফিক পুলিশকে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে কয়েক মিনিট বেশি সময়ের পর যানবাহন যেতে দিতে দেখা যায়।
বাংলামোটরে দায়িত্বরত একজন ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, হঠাৎ করে রাতের বেলায় যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সারাদিন আষাঢ়ে বৃষ্টির কারণে অনেকেই সন্ধ্যার পর রাতে বাইরে কাজে বের হওয়ায় এমনটা হতে পারে।
নীলক্ষেত থেকে কাঁটাবন মোড় পর্যন্ত পুরো রাস্তায় যানজট দেখা যায়। যানজট এড়াতে কিছু মোটরসাইকেল ও রিকশাচালকদের বিপরীত দিকের ফুলের মার্কেটের পাশ দিয়ে সামনে এগিয়ে আসেন।
এলিফ্যান্ট রোড বাটা সিগন্যালের সামনে কর্তব্যরত একজন পুলিশ কনস্টেবলের কাছে ‘রাস্তায় এত যানজট কেন’ জানতে চাইলে তিনি বলেন, আজ নতুন হবে কেন, কয়েক দিন ধরেই রাজধানীতে যানবাহনের চাপ বেশি। তবে রাতে ঘরে ফেরা মানুষের কারণে বেশি যানজট হয়।
এমইউ/এমএসএইচ/জিকেএস