ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

বাড়ি ফিরতে চায় এসিডদগ্ধ মাজেদা

প্রকাশিত: ০১:৪০ পিএম, ০৫ ডিসেম্বর ২০১৫

বগুড়ার এসিডদগ্ধ মনোয়ারা বেগম মাজেদা নিজ বাড়িতে ফিরতে চায়। কিন্তু এসিড সহিংসতা মামলার আসামি ও তার তালাকপ্রাপ্ত স্বামী দুলুর প্রাণনাশের হুমকিতে নিরাপত্তাহীনতায় গত আট বছরের বেশীরভাগ সময়ে তিনি পালিয়ে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন।

শনিবার মহাখালির ব্রাক ইন সেন্টারে এসিড সারভাইভার্স ফাউন্ডেশন (এএসএফ) আয়োজিত ‘দ্রুত বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এসিড সহিংসতার মামলায় ন্যায় বিচার নিশ্চিতকরণ’ শীর্ষক সম্মেলনে মাজেদা বেগম এসিড সহিংসতাসহ নির্যাতনের ভয়াবহ চিত্র বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, আর কতদিন আমাকে পালিয়ে বেড়াতে হবে। আমি ছেলেকে নিয়ে নিজ বাড়িতে থাকতে চাই।

মাজেদা জানান, ২০০০ সালে প্রতিবেশী প্রভাবশালি পরিবারের ছেলে দুলু তাকে প্রায় জোর করে বিয়ে করেন। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে শুরু হয় নির্যাতন। প্রথমে সাত মাসের অন্তঃস্বত্ত্বা থাকা অবস্থায় পেটে লাথি মারালে গর্ভপাত হয়। পরবর্তীতে একটি কন্যা সন্তান হলে ১৪ মাস বয়সে তাকে (মাজেদা) মারধকরে করতে গিয়ে শিশুটির উপর লাথি ঘুষি  পড়ে। পরে শিশুটি মারা যায়। পরবর্তীতে একটি ছেলে সন্তান হয়। তবে এরপরও অত্যাচার কমেনি। এক পর্যায়ে ২০০৭ সালে গ্রাম্য সালিশিতে দুলুর সঙ্গে তালাক হয়। এর কিছুদিন পর দুলু ও তার ভাইয়েরা ঘরের বেড়া কেটে শরীরে এসিড মারে। প্রতিবেশীরা প্রথমে বগুড়ার ধুনট ও পয়ে জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।

মাজেদা জানান, পরবর্তীতে সে ঢাকায় এসে এএসএফের হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে। এ ঘটনায় দুলুসহ কয়েকজনকে আসামি করলে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। পরে জামিনে ছাড়া পেয়ে দুলু তাকে ধর্ষণ করে। এসময় স্থানীয় লোকজন হাতেনাতে ধরে দুলুকে আবারো পুলিশে দেয়।

মাজেদা জানান, এর কিছুদিন পর সে ছাড়া পেলে হুমকি ধামকি দিতে শুরু করে। সম্প্রতি দুলু তার (মাজেদা) মাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে মারধর করে। তবে এ ঘটনা পুলিশকে জানালেও লাভ হয়নি। বরং দুলু প্রভাব খাটিয়ে তাকেসহ তার পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দিচ্ছে।

শনিবার এএসএফ আয়োজিত সম্মেলনের প্রধান অতিথি সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. ঈমান আলী বলেন, মাজেদার ওপর অত্যাচারের ঘটনায় ভিকটিমের নিরাপত্তাহীনতার বিষয়টি করুনভাবে ফুটে উঠেছে। তিনি ন্যায়বিচারের স্বার্থে ভিকটিম প্রটেকশন অ্যাক্ট প্রণয়ন জরুরী বলে অভিমত ব্যক্ত করেন।

এমইউ/এএইচ/আরআইপি