ভালো নেই ঢাবি ক্যাম্পাসের চুড়ি বিক্রেতারা
মধ্য দুপুর। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের শহীদ ডা. মিলন স্মৃতিস্তম্ভ সংলগ্ন ফুটপাত। এখানে ইটের উপর কাঠের চৌকিতে নানা রঙের চুড়ি কাগজে মুড়িয়ে সাজিয়ে রাখছিলেন এক তরুণী। পাশেই খালি গায়ে হাফ প্যান্ট পরা ১৪ মাস বয়সী তার মেয়েও চুড়িগুলো নেড়েচেড়ে দেখছিল। কিন্তু চুড়ি সাজিয়ে রাখার পর বেশ কিছু সময় পেরিয়ে গেলেও দেখা মেলেনি কোনো ক্রেতা।
কৌতুহলবশত এ প্রতিবেদক ব্যবসা কেমন চলছে জানতে চাইলে নাহার বেগম নামে ওই তরুণী বলেন, এক সময় ক্যাম্পাসে প্রতিদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছাড়াও নগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে অনেক লোক আসত। এখানে আড্ডা জমত। কিন্তু করোনার কারণে গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে আবাসিক হলসহ বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ। এখন ক্যাম্পাসে আর কেউ আসে না।
নাহার জানান, চুড়ির ক্রেতারা সকলেই তরুণী। আগে অনেকেই বন্ধু ও অভিভাবকদের সঙ্গে ঘুরতে এলে, শখ করে নিজের জন্য বা কাউকে উপহার দিতে চুড়িসহ বিভিন্ন ধরনের জিনিস কিনে নিয়ে যেত। শখ করে কেনায় খুব বেশি দামাদামিও করত না। কিন্তু এখন করোনার কারণে নেই ক্রেতা। বিশেষ করে তরুণীদের উপস্থিত কম। ফলে নেই বেচাকেনা।
নাহার জানান, আগে প্রতিদিন এক দেড় হাজার টাকার চুড়ি বিক্রি হত। কিন্তু এখন বড় জোর দুই থেকে তিনশ’ টাকার চুড়ি বিক্রি হয়।
ঢাকা ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা গেছে, টিএসসি, চারুকলা, জাদুঘর, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও রোকেয়া হল এলাকায় চুড়ির তেমন ক্রেতা নেই। দিনভর পসরা সাজিয়ে বসে থেকেও আগের মতো ক্রেতা পান না চুড়ি বিক্রেতারা। ফলে এখন তারা করোনা মহামারি শেষ ও ক্যাম্পাস খোলার অপেক্ষায় দিন কাটাচ্ছেন।
এদিকে আগামী ১৩ জুন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতি ভালো না হলে ১৩ জুনও বিশ্ববিদ্যালয় খুলবে না বলে আভাস পাওয়া গেছে।
জেডএইচ/জিকেএস