ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

দুই হাজার টাকায় করোনার নেগেটিভ সনদ দিতেন তারা

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৯:১৫ পিএম, ৩১ মে ২০২১

কোনো ধরনের পরীক্ষা ছাড়াই নিজেদের মতো করে করোনা টেস্টের রিপোর্ট বানিয়ে দিত। ইচ্ছা মতো নেগেটিভ ও পজিটিভ রিপোর্ট দেয়া হতো। আবার কেউ যদি নির্দিষ্টভাবে নেগেটিভ রিপোর্ট চাইতো, তাহলে দুই হাজার টাকার বিনিময়ে সেটাও দেয়া হতো। আর এভাবেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দালালদের মাধ্যমে প্রতারণা করে যাচ্ছিল একটি চক্র।

রোববার (৩০ মে) রাজধানীর চাঁনখারপুল থেকে এই চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগ।

তারা হলেন- মো. মনির হোসেন (৩৭) ও মো. রফিকুল ইসলাম ওরফে রুবেল (২৪)।

সোমবার (৩১ মে) সন্ধ্যায় গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) মো. সাইফুর রহমান আজাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, মো. মনির হোসেন ও মো. রফিকুল ইসলাম ওরফে রুবেল চাঁনখারপুল এলাকায় আল মেডিকেল ফার্মা নামে এমটি ফার্মেসি পরিচালনা করতেন। যেহেতু ফার্মেসিটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কাছাকাছি, সেহেতু ভেতরের অনেক দালালদের সঙ্গে তাদের পরিচয় ছিল। এসব দালালদের মাধ্যমে তারা গ্রামের সহজ-সরল মানুষকে করোনা টেস্টের নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষার জন্য তাদের ফার্মেসিতে নিয়ে আসত। পরীক্ষা শেষে তাদের হাত ধরিয়ে দেয়া হতো ভুয়া রিপোর্ট।

পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, সবশেষ ক্যান্সার আক্রান্ত এক রোগী ঢামেকে অস্ত্রোপচার করাতে আসেন। তিনি এই চক্রটির কাছ থেকে কোভিড টেস্ট করান। তারা তাকে টেস্টের নেগেটিভ রিপোর্ট দেয়। যা পরে ঢামেক হাসপাতালের নাক, কান, গলা বিভাগে ধরা পরে যে রিপোর্টটি ভুয়া।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতাররা জানান, ঢামেক হাসপাতালে অস্ত্রোপচার জন্য আসা গ্রামের রোগীদের দালালদের মাধ্যমে করোনা টেস্টের জন্য নিয়ে আসা হতো। এরপর তাদের কাছ থেকে নমুনা সংগ্রহ করত চক্রটি। এসব নমুনা কোনো ধরনের পরীক্ষা ছাড়াই নিজেদের ইচ্ছা মতো নেগেটিভ ও পজিটিভ রিপোর্ট কম্পিউটারে বানিয়ে দিত। এ ক্ষেত্রে আবার কেউ নেগেটিভ রিপোর্ট চাইলে দুই হাজার টাকায় তা বানিয়ে দিত।

এডিসি মো. সাইফুর রহমান আজাদ বলেন, মনির হোসেন রাজধানীর একটি অখ্যাত ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সঙ্গে জড়িত। তারা করোনার নমুনা সংগ্রহ করে এগুলো ব্যাগে ভরে দূরে কোথাও ফেলে দিত। তাদের সঙ্গে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একটি দালাল চক্র জড়িত থাকতে পারে বলে আমরা সন্দেহ করছি।

গ্রেফতারদের বংশাল থানায় দায়ের করা মামলায় আদালতে তোলা হয়েছিল। আদালত তাদের দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

অভিযানে তাদের কাছ থেকে একটি মনিটর, একটি প্রিন্টার, একটি সিপিইউ, একটি কি-বোর্ড ও ২টি নকল করোনা টেস্ট রিপোর্ট উদ্ধার করা হয়।

টিটি/জেডএইচ/এএসএম