ইমারত নির্মাণ উপকরণের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে হবে
ইমারত নির্মাণ উপকরণমূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখা হলে ফ্ল্যাট নির্মাণ ব্যয় কমিয়ে আনা যাবে এবং জনগণের জন্য আবাসন সুবিধা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। ভবন নির্মাণে আধুনিক পদ্ধতি ও প্রযুক্তি ব্যবহার নির্মাণ ব্যয় কমিয়ে আনতে সহায়ক হবে। জনগণের জন্য আবাসন সুবিধা নিশ্চিত করতে ফ্ল্যাট ও প্লট বিক্রির কিস্তি গ্রহণ প্রক্রিয়াও সহজ করতে হবে।
বৃহস্পতিবার বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটিতে অনুষ্ঠিত ইমারত নির্মাণ উপকরণ, পদ্ধতি ও প্রযুক্তি প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এ কথা বলেন।
৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এ প্রদর্শনী সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে জনসংখ্যার তুলনায় জমির পরিমাণ কম। তাই পরিকল্পিত উপায়ে ভূমি ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। রাজউক, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও অধুনাপ্রতিষ্ঠিত কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সরকার পরিকল্পিত ভূমিব্যবহার নিশ্চিত করছে। দেশের জনসংখ্যা ও ভূমির পরিমাণ বিবেচনায় নিয়ে প্লট প্রকল্পের পরিবর্তে বহুতল আবাসিক ভবন নির্মাণের প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে।
তিনি বলেন, ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে নির্মাণ উপকরণ ও পদ্ধতির ক্ষেত্রে গুনগত মানের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। আবাসিক এলাকা গড়ে তোলা এবং ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা ও পানি নিষ্কাশনে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারকে জনপ্রিয় করতে হবে। অন্যথায় শহরে মানুষের বসবাস করা সম্ভব হবে না। সরকার মিরপুর এলাকায় ১৯০ একর জমির ওপর জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে একটি গ্রিনসিটি গড়ে তুলবে।
অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-এলাহী বীর বিক্রম, বাংলাদেশে নিযুক্ত স্পেনের রাষ্ট্রদূত অ্যাডওয়ার্ড ডি লেইগলেসিয়া, এফবিসিসিআই-এর প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. সফিউল ইসলাম (মহিউদ্দীন) ও বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সদস্য এ টি এম জহিরুল ইসলাম মজুমদার।
পরে মন্ত্রী প্রদর্শনী এলাকা ঘুরে দেখেন এবং বিভিন্ন উপকরণ সম্পর্কে অবহিত হন।
১৫শ পাওয়ার বাংলাদেশ ২০১৫, ১০ম সোলার বাংলাদেশ ২০১৫, ১৮শ কনএক্সপো বাংলাদেশ ২০১৫, এবং ১৬শ রিয়েল এস্টেট বাংলাদেশ ২০১৫ শিরোনামে এ প্রদর্শনী চলছে।
এসএ/একে/পিআর