ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

মাজারের পীরকে হত্যার পরিকল্পনা ছিল মুজাহিদ অব বাংলাদেশের

প্রকাশিত: ০৭:৩৬ এএম, ০৩ ডিসেম্বর ২০১৫

রাজধানীর মতিঝিলে অভিযান চালিয়ে মুজাহিদ অব বাংলাদেশ নামে একটি সংগঠনের ৬ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। আসামিরা গত কয়েক দিন ধরে একজন মাজারের পীরকে হত্যার পরিকল্পনা করছিল। সংগঠনটির একজন বড় নেতা কারাগারে আছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিবির যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম জানান, নতুন এই সংগঠনে মোট ২৫-৩০ জন সদস্য রয়েছে। তারা মনে করে বিভিন্ন মাজারের পীররা অনুসারি তৈরি করে শিরকের কাজ করছে। মুসলমানদের বিভ্রান্ত করছে। তাদের হত্যা করাকে জিহাদ মনে করছে সংগঠনটি। এরই অংশ হিসেবে তারা একজন পীরকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল। পুলিশের তৎপরতার কারণে তিনি এখন নিরাপদ আছেন। তবে সেই পীরের নাম জানাননি তিনি।

গ্রেফতারকৃত আসামিরা হচ্ছেন, জহিরুল ইসলাম ওরফে আনসার ওরফে চূড়ান্ত লড়াই ওরফে জহির, খন্দকার রাজেশ সোবাহান ওরফে রাজু ওরফে কাঁচা মরিচ ওরফে আদার ব্যাপারী, আবু বক্কর সিদ্দিক ওরফে আবির ওরফে মৌমাছি ওরফে নিয়মের অনিয়ম ওরফে এক টুকরো মেঘ ওরফে সাদা পাতা, আব্রাহাম আহমেদ আল-তারেক, মোরশেদুল ইসলাম ওরফে কিং মোর খান, কাজি বাপ্পি আহমেদ ওরফে সাজ্জাদ ওরফে তারেক বিন জিয়া মোল্লা আক্তার মো. মনসুর।

মনিরুল ইসলাম জানান, নতুন এই সংগঠনটি গত ২ বছর ধরে সংগঠিত হচ্ছে। এদের কিছু সদস্য উচ্চ বেতনে চাকরি করে। বেতনের কিছু টাকা তারা সাংগঠনিক কাজে ব্যবহার করে। তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা ভালো। অনেকের আইটি সম্পর্কে জ্ঞানও আছে।

আসামিদের বরাত দিয়ে মনিরুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জহির জানায় তাদের একজন বড় নেতা গ্রেফতার হয়েছে। প্রয়োজনে সেই বড় নেতাকে কারাগার থেকে এনে আবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

আসামিরা চূড়ান্ত লড়াই, কাঁচা মরিচ, আদার ব্যাপারী, মৌমাছি, নিয়মের অনিয়ম, এক টুকরো মেঘ, সাদা পাতা, কিং মোর খানের মতো ‘অদ্ভুত’ নামে কয়েকটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট এবং পেজ খুলে সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছিল। এ বিষয়ে মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘যাতে কোন গোয়েন্দা সংস্থা ফেসবুক দেখে তাদের কথিত জিহাদের বিষয়টি টের না পায়, তাই তারা অদ্ভুত নামে পেজ খুলেছে। তাদের সুনির্দিষ্ট কোন নেতা নেই। সবাই নিজের মতো নিজ নিজ দেশে জিহাদ প্রতিষ্ঠার কাজ করছিল।’

জামায়াতে মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) কিংবা আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি) সঙ্গে তাদের কোন সম্পর্ক পায়নি পুলিশ। নতুন এই সংগঠনটি আল-কায়েদার অনুসারী হলেও আল-কায়েদার ভারতীয় উপ-মহাদেশের (আকিস) সঙ্গে তাদের কোন নেটওয়ার্ক বা যোগাযোগ নেই বলে দাবি করে পুলিশ।

আগে যে কয়েক জন পীরকে হত্যা করা হয়েছে তাদের সঙ্গে এই গ্রুপটি জড়িত কি না জানতে চাইলে মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘আগে কোন পীর হত্যার সঙ্গে তাদের সংশ্লিষ্টতা নেই। সেগুলো জেএমবি করেছিল। আমাদের কাছে এ বিষয়ে যথেষ্ট তথ্য প্রমাণও রয়েছে।’

আসামিদের বিরুদ্ধে রাজধানীর মতিঝিল থানায় নিয়মিত ধারায় একটি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। এই সংগঠনের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেফতার করতে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন মনিরুল ইসলাম।

এআর/এআরএস/এমএস