চট্টগ্রামে ভারতফেরত করোনা রোগীর দেহে আফ্রিকান ধরন
চট্টগ্রামে ভারতফেরত এক করোনা রোগীর দেহে ভারতীয় ধরনের পরিবর্তে আফ্রিকান ধরনের উপস্থিতি পাওয়া গেছে।
চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) কোভিড-১৯ শনাক্তকরণ ল্যাবে এটি শনাক্ত হয়।
মঙ্গলবার (২৫ মে) বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন সিভাসুর উপাচার্য প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ।
সিভাসু ল্যাব সূত্রে জানা গেছে, ১৫ মে চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে ভারতফেরত ছয়জনের নমুনা তাদের ল্যাবে পাঠানো হয়। এদের মধ্যে পাঁচজনের নমুনা নেগেটিভ আসে ও আরেকজনের নমুনা পজিটিভ আসে। পজিটিভ হওয়া নমুনা বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের (বিসিএসআইআর) সহযোগিতায় করোনাভাইরাসের পূর্ণাঙ্গ জীবন রহস্য (জিনম সিকোয়েন্স) উন্মোচন করা হয়। এরপর এটি আফ্রিকান ধরন বলে নিশ্চিত হওয়া যায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপাচার্য ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ জাগো নিউজকে বলেন, ‘সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে পাঠানো এক ব্যক্তির দেহে করোনার আফ্রিকান ধরনের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এটি ভারতীয় ধরনের মতো এতো শক্তিশালী না। এর আগেও আমাদের ল্যাবে তিনজনের দেহে আফ্রিকান ধরনের উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছিল।’
এটি ভারত থেকে সংক্রমণ হয়েছে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ভারতফেরতরা কোথায় আক্রান্ত হয়েছেন, আমরা বলতে পারব না। তবে ভারতে যে সবাই ভারতীয় ধরনে আক্রান্ত হচ্ছেন তা নয়। ওইখানেও লোকজন বিভিন্ন ধরনে আক্রান্ত হয়েছেন। এরমধ্যে ভারতে মিউটেশন হওয়া করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের ভারতীয় ধরন বলা হয়েছে। তবে এই ধরন বেশ ঝুঁকিপূর্ণ।’
সিভাসুর উপাচার্য প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাশের সার্বিক নির্দেশনায় এ গবেষণা কার্যক্রমে অংশ নেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. পরিতোষ কুমার বিশ্বাস, অধ্যাপক ড. শারমীন চৌধুরী, ডা. ইফতেখার আহমেদ রানা, ডা. ত্রিদীপ দাশ, ডা. প্রনেশ দত্ত, ডা. মো. সিরাজুল ইসলাম, ডা. তানভীর আহমদ নিজামী প্রমুখ।
মিজানুর রহমান/জেডএইচ/জিকেএস