ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

চকচক করছে প্লাটফর্ম, ট্রেন চলার অপেক্ষা

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৩:৪১ পিএম, ২৩ মে ২০২১

প্রায় দুই মাস বন্ধ থাকার পর আবারও চালু হতে যাচ্ছে ট্রেন চলাচল। ইতোমধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে ট্রেন চলাচলের বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। তবে কমলাপুর রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো (রোববার দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত) ট্রেন চলাচলের কোনো নির্দেশনা আসেনি।

এদিকে, কমলাপুর রেলওয়ের বিভিন্ন বিভাগের কর্মীরা জানিয়েছেন, তারা ট্রেন চালানোর সব প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন। নির্দেশনা আসলেই দুই ঘণ্টার মধ্যে ট্রেনের কোচ (বগি) ধুয়ে চলাচলের উপযোগী করে তোলা হবে।

রোববার (২৩ মে) দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ঘুরে দেখা যায়, টিকিট কাউন্টার, স্টেশন মাস্টার, স্টেশন ম্যানেজারের রুমে তালা ঝুলছে। তবে বেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন দেখা গেছে প্লাটফর্ম। এক কথায় চকচক করছে প্লাটফর্মের সর্বত্র। আর লাইনে দাঁড়িয়ে আছে একটার পর একটা ট্রেন।

কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের দেখা না গেলেও লাইনে কিছু কর্মীদের কাজ করতে দেখা যায়। সেইসঙ্গে আনসার ও রেলওয়ে পুলিশের কয়েকজন সদস্যকেও দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়।

jagonews24

ট্রেন লাইনে পাথর ছিটানোর কাজ করা মিরাজ নামে একজন বলেন, ‘আমরা নিয়মিতই লাইনের কাজ করি। কাল থেকে ট্রেন চলবে কি-না সে বিষয়ে আমাদের কিছু জানা নেই। নিয়মিত কাজের অংশ হিসেবেই আমরা কাজ করছি।’

কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের প্লাটফর্ম এ দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনগুলো ঘুরে ঘুরে দেখে এসি বগির তথ্য সংগ্রহ করা এক কর্মকর্তা বলেন, ‘ঢাকায় কী পরিমাণ ট্রেনের এসি বগি আছে স্যার আমাদের সেই তথ্য সংগ্রহ করতে বলেছেন। সেজন্যই আমরা এসি বগির তথ্য সংগ্রহ করছি। ট্রেন কবে থেকে চলবে সে বিষয়ে আমরা কিছু বলতে পারব না।’

স্টেশনে পাওয়া যায় প্রধান রেলযান পরীক্ষক (ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী) মো. ছামিউল হককে। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘ট্রেন চলাচলের বিষয়ে এখনো কোনো নির্দেশনা আমরা পাইনি। তবে আমাদের সব প্রস্তুতি নেয়া আছে। নির্দেশনা পেলে যেকোনো সময় আমরা ট্রেন চালু করতে পারব।’

যদি নির্দেশনা রাতে আসে তাহলে আপনারা কখন থেকে ট্রেন চালাতে পারবেন? এমন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘রাতে নির্দেশনা আসলেও ট্রেন চালু করতে আমাদের কোনো সমস্যা হবে না। নির্দেশনা পাওয়ার দুই ঘণ্টার মধ্যে ট্রেন ধুয়ে আমরা চলাচলের উপযোগী করে তুলতে পারব। তাছাড়া ট্রেন লাইনসহ অন্যান্য সব কাজই সম্পন্ন আছে।’

কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন প্লাটফর্ম মাস্টার অপুকেও পাওয়া যায় স্টেশনে। তিনি বলেন, ‘সরকার ট্রেন চলাচলের নির্দেশনা দিয়েছে বলে আমরা শুনছি। তবে এ সংক্রান্ত লিখিত কোনো নির্দেশনা এখন আমরা পাইনি। নির্দেশনা পেলে তারপর আমরা ট্রেন চলাচল শুরু করব।’

jagonews24

এদিকে নাম প্রকাশ না করে কমলাপুর রেলওয়ের এক কর্মকর্তা জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমরা এখনো ট্রেন চলাচলের ব্যাপারে লিখিত কোনো নির্দেশনা পাইনি। তবে আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। আশা করছি, আজ সন্ধ্যার মধ্যে এ ব্যাপারে নির্দেশনা চলে আসবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘নির্দেশনা পাওয়ার পরপরই অনলাইনে টিকিটি বিক্রি শুরু হবে।’

করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়তে থাকায় গত ৫ এপ্রিল সকাল ৬টা থেকে সরকারি বিধিনিষেধ শুরু হয়েছে। তখন থেকেই ট্রেন বন্ধ আছে।

পরে গত ১৪ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে আটদিনের কঠোর বিধিনিষেধ শুরু হয়। এ সময়ে পালনের জন্য ১৩টি নির্দেশনা দেয়া হয় সরকারের পক্ষ থেকে। পরে চার দফা লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হয়। সে সময়ে বিধিনিষেধের শর্তেও নানান পরিবর্তন আনা হয়। তবে ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়।

এমএএস/এমআরআর/এমকেএইচ