বেড়েছে নমুনা পরীক্ষা-শনাক্ত, কমেছে মৃত্যু-সুস্থতা
এক সপ্তাহের ব্যবধানে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্তকরণে নমুনা পরীক্ষার পরিমাণ ও শনাক্ত নতুন রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। বিপরীতে কমেছে মৃত্যু এবং সুস্থতা। এপিডেমিওলজিক্যাল ১৯তম সপ্তাহের (৯ মে থেকে ১৫ মে) সঙ্গে ২০তম সপ্তাহের (১৬ মে থেকে ২২ মে) তুলনামূলক বিশ্লেষণে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
এতে দেখা গেছে, নমুনা পরীক্ষা বেড়েছে ১৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ এবং নতুন রোগী শনাক্ত বেড়েছে তিন দশমিক ৪০ শতাংশ। একই সময়ে করোনায় মৃত্যু কমেছে আট দশমিক ৯৪ শতাংশ এবং রোগী সুস্থতা কমেছে ৪২ দশমিক ৭৩ শতাংশ।
শনিবার (২২ মে) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে আরও জানানো হয়, এপিডেমিওলজিক্যাল ১৯তম সপ্তাহে ৮৮ হাজার ৩০৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এই সময়ে সাত হাজার ৬৬৯ জন নতুন রোগী শনাক্ত, ১৪ হাজার ৬০২ জন সুস্থ এবং ২৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বিপরীতে এপিডেমিওলজিক্যাল ২০তম সপ্তাহে এক লাখ তিন হাজার ৩২১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ সময়ে সাত হাজার ৯৩০ জন নতুন করোনা রোগী শনাক্ত, আট হাজার ৩৬৩ জন সুস্থ এবং ২২৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
এদিকে করোনাভাইরাসে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে ২৫ জন পুরুষ এবং ১৩ জন নারী। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ৩৪৮ জনে। একই সময়ে নতুন করে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে এক হাজার ২৮ জন। এতে মোট শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে সাত লাখ ৮৭ হাজার ৭২৬ জনে।
এদিকে সরকারি হিসাবে করোনা রোগীদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৭৫৯ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এতে মোট সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন সাত লাখ ২৯ হাজার ৭৯৮ জন।
এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১১ হাজার ৯২০টি। আর নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১২ হাজার ২৩০টি। এ নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয় ৫৮ লাখ পাঁচ হাজার ৪০৭টি। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪২ লাখ ৪৭ হাজার ২৫০টি এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ লাখ ৫৮ হাজার ১৫৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। মোট নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৫৭ শতাংশ।
দেশে গত বছরের ৮ মার্চ করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ে এবং ১৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগীর মৃত্যু হয়।
এমইউ/এআরএ/এমকেএইচ