স্থপতি মাইনুলের প্রতি সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদন
ফুলেল শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার মধ্য দিয়ে সর্বস্তরের মানুষ স্থপতি মাইনুল হোসেনের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছে। বুধবার সকাল ১১টা ২০মিনিটে কেন্দ্রিয় শহীদ মিনারে সর্বসাধারনের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রাখা হয়। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বেলা পৌনে ১টায় তাঁর মরদেহ জানাযার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে নেয়া হয়। মসজিদ প্রাঙ্গণে বাদ যোহর নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়।
এরপর বেলা পৌনে ১১টার সময় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এ তার দ্বিতীয় নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক,সামাজিক ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ তাকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
শহীদ মিনারে রাখা শোক বইতে বিভিন্ন পেশার মানুষ স্বাক্ষর করেন।
এছাড়া সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছের পরিচালনায় সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে স্মৃতিসৌধের এই মহান স্থপতির প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে ১মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
এসময় সাংস্কৃতিক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর ও সচিব রনজিত কুমার বিশ্বাস শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
পরে আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), বাংলাদেশ সাম্যবাদী দল, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, নাট্যদল আরণ্যক, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি, বাংলা একাডেমী, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ, শিল্পকলা একাডেমী, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, ছায়ানটসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
স্থপতি মাইনুল হাসানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাট্যজন আতাউর রহমান, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মুস্তাফা মনোয়ার, পথনাটক পরিষদের সভাপতি নাট্যজন মান্নান হীরা, কবি ও স্থপতি রবিউল হুসাইন, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব পিযুষ বন্দ্যোপাধ্যায়, নাট্য ব্যক্তিত্ব্য নাসিরউদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু, শিশু সাহিত্যিক আবু সালেহসহ প্রয়াত সৈয়দ মইনুল হোসেনের সতীর্থ ও শুভানুধ্যায়ীরাসহ অনেকে।
উল্লেখ্য, জাতীয় স্মৃতিসৌধের নকশাদার ও স্থপতি সৈয়দ মাইনুল হোসেন সোমবার দুপুরে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৬২ বছর বয়সে মারা যান।