ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাতিলসহ আট দফা দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশিত: ০৮:৩০ এএম, ০২ ডিসেম্বর ২০১৫

পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি বাতিলসহ আট দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছে ঢাকা মহানগর পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদ। বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঢাকা মহানগর পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদ আয়োজিত মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়।

মানববন্ধনে বক্তরা জানান, ১৯৯৭ সালের দুই ডিসেম্বর সরকারের পক্ষে তৎকালিন চীপ হুইপ আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ`র সঙ্গে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর করেছিলেন সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপের গেরিলা নেতা জ্যোতিরিন্দ্র বোধি প্রিয় লারমা সন্তু লারমা। চুক্তি স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে পার্বত্যাঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রতি দেয় কিন্তু শান্তিচুক্তি সম্পাদিত হলেও পাহাড়ে শান্তি ফিরে আসেনি। নতুন করে সৃষ্টি হয় উপজাতিদের তিনটি সশস্ত্র গ্রুপ-জেএসএস, ইউপিডিএফ ও এমএন লারমা।

তারা আরো জানান, এসব বাহিনীর খুন, অপহরণ, চাদাবাজী, সম্প্রদায়িক প্রতিহিংসার বলি হয় তিন পার্বত্য জেলার বসবাসরত সাধারণ বাঙালীরা। এ সময় তারা আট দফা দাবি  তুলে ধরে। দাবি গুলো হলো :

এক. পার্বত্য চট্টগ্রমের সকল জনগণের মাঝে শাসনতান্ত্রিকভাবে গ্রহনযোগ্য সম-অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

দুই. পার্বত্য চট্টগ্রমে পূর্ব তিমুর ও দক্ষিণ সুদানের মত আলাদা খ্রীষ্টান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সকল দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র করার পাশাপাশি ষড়যন্ত্রকারীদেরকে চিহ্নিত করে দ্রুত আইনাণুগ ব্যবস্থা নিতে হবে।

তিন. ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন-২০০১ অসংবিধানিক হওয়ায় সেটিকে অবৈধ ঘোষণা পূর্বক পরবর্তীতে প্রস্তাবিত সকল সংশোধনীসহ আইনসহ আটটি আইন বাতিল করতে হবে।

চার. শুধুমাত্র উপজাতিদের জন্যে করমুক্ত ব্যবসা সুবিধার পরিবর্তে সকল সম্প্রদায়ের ব্যবসায়ীদেরকে একই সুবিধা দিতে হবে।

পাঁচ. বর্তমান জেলা পরিষদ, পার্বত্য শরণার্থী পুনর্বাসন টাস্কফোর্স, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড ও আঞ্চলিক পরিষদ ভেঙ্গে দিয়ে নির্বাচন দিতে হবে।

ছয়. নিরাপত্তা ঝুকিপূর্ণ অঞ্চলসমুহে সেনাক্যাম্প স্থাপন করতে হবে।

সাত. উপজাতীয় চাদাবাজী, অপহরণ বাণিজ্য, হত্যা, পার্বত্য অঞ্চল নিয়ে ষড়যন্ত্র ও অন্যান্য সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।

আট. ২৮,২২০ পরিবার গুচ্ছগ্রামবাসী বাঙালিদের ভারত প্রত্যাগত উপজাতীয় শরণার্থীদেরন্যায় সুবিধাদি দিয়ে ভূমিসহ পুনর্বাসন করতে হবে।

এএস/এআরএস/পিআর