ইফতারের আগে রাজধানীতে যানজট
নীলক্ষেত মোড় থেকে পলাশীর দিকে দ্রুতবেগে ছুটে যাচ্ছিল একটি প্রাইভেটকার। মাঝ রাস্তায় হঠাৎ থমকে দাঁড়িয়ে ইউটার্ন নিয়ে গাড়ি ফের নীলক্ষেতের দিকে রওনা হয়। মোটরসাইকেল আরোহীদের কেউ প্রাইভেটকার চালককে অনুসরণ করছেন। আবার কেউবা ফুটপাত ঘেঁষে দাঁড়িয়ে পর্যবেক্ষণ করছেন। রিকশারোহী এক নারী বলতে শুরু করেন, আজ বোধহয় আর ইফতারের আগে বাসায় ফেরা হবে না।
মঙ্গলবার (৪মে) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে নীলক্ষেত থেকে পলাশী রুটের মাঝামাঝি স্থানে এমন দৃশ্যের অবতারণা হয়। কারণ অর্ধেক রাস্তার পর যানবাহনের ভয়াবহ যানজট। কিছুক্ষণ যানবাহন একেবারেই থেমে থেকেছে। আবার কিছুক্ষণ পর পিঁপড়ার গতিতে সামনে এগোচ্ছে। যানজটের এমন অবস্থা দেখে কেউ কেউ বিকল্প পথে যাওয়ার জন্য যানবাহন ঘুরিয়ে উল্টোপথে যাচ্ছে আবার কেউবা নিরুপায় হয়ে যানজট ছাড়ার অপেক্ষায় থাকছে।
শুধু নীলক্ষেত বা পলাশী মোড়েই নয়, ইফতারের ঘণ্টাখানেক আগে থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ করে পুরান ঢাকার বিভিন্ন রাস্তায় ভয়াবহ যানজটের সৃষ্টি হয়। কয়েক দিন ধরে ইফতার-পূর্ব ঘণ্টাখানেক সময়জুড়ে বিভিন্ন এলাকায় যানজটের খবর পাওয়া গেছে। কারণ খুঁজে জানা গেছে, এ সময়ে একইসঙ্গে বিভিন্ন এলাকা থেকে ঈদ শপিং করতে আসা বিভিন্ন এলাকার মানুষ বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য রওনা হওয়ার কারণে রাস্তায় যানজটের সৃষ্টি হয়। ভাগ্য ভালো হলে কখনও মাগরিবের আজানের আগে বাসায় পৌঁছাতে পারেন, আবার কখনও কাউকে কাউকে যানজটের কারণে রাস্তায় বসেই ইফতার করতে হয়।
রাজধানীর পুরান ঢাকার বাসিন্দা আবদুল হালিম বলেন, চকবাজার থেকে প্রতিদিন আজিমপুরের বাসায় ফিরে ইফতার করি। প্রতিদিনই তাকে প্রচণ্ড যানজট ঠেলে বাসায় পৌঁছতে হয়। গত রোববার যানজটের কারণে ইফতার রাস্তায় করতে হয়েছে।
পলাশী মোড়ে কর্তব্যরত ট্রাফিকের একজন কর্মকর্তা বলেন, গত কয়েক দিন বিকেলে যানজট নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খেতে হয়। ঈদ শপিং করতে আসা অনেকেই একসঙ্গে বাসায় ফেরার জন্য রওনা হওয়ায়ই এমন যানজট হয়। ইফতারের ১৫ মিনিট আগে যানজট একেবারে কমে যায়।
এমইউ/এএএইচ/এমএস