ডিএনসিসি করোনা হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্স-লাশবাহী গাড়ি দিলেন আতিক
ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতালে দুটি অ্যাম্বুলেন্স ও একটি লাশবাহী গাড়ি উপহার দিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম। সোমবার (৩ মে) বেলা ১১টায় রাজধানীর মহাখালীতে ডিএনসিসি করোনা হাসপাতাল প্রাঙ্গণে এই অ্যাম্বুলেন্স এবং লাশবাহী গাড়ি হস্তান্তর করা হয়।
গত ১৮ এপ্রিল ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতালের উদ্বোধন করা হয়। এই হাসপাতালে পাঁচ শতাধিক আইসিইউ সমমানের শয্যা রয়েছে। হাসপাতালটি পরিচালনা করছে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী।
গাড়ি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে মেয়র আতিকুল ইসলাম, ‘ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতালের স্থাপনাটিতে মার্কেট করার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু ডিএনসিসির কোনো হাসপাতাল ছিল না। তাই করোনার এই সময়ে এখানে হাসপাতাল তৈরির কথা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জানাই। পরে তার নির্দেশনা অনুযায়ী এখানে হাসপাতালের কার্যক্রম শুরু করি। এখানে যাদের দোকান বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল, তাদের বরদ্দ বাতিল করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এখন এই হাসপাতালে আইসিইউ চিকিৎসায় কোনো খরচ লাগছে না। বিনামূল্যে সেবা পাচ্ছেন নাগরিকরা। তবে নিম্নআয়ের অনেকের অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া সক্ষমতা নেই। তাই তাদের জন্য ঢাকা মহানগরী এলাকায় অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস চালু করা হয়েছে। এই অ্যাম্বুলেন্সের যাবতীয় খরচ ডিএনসিসি বহন করবে।’
স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক এ বি এম খুরশিদ আলম বলেন, ‘করোনা পরবর্তী সময়ে হাসপাতালটিকে একটি পূর্ণাঙ্গ রূপ দেয়া হবে। তখন এখানে বিভিন্ন বিভাগ খুলে পর্যাপ্ত জনবলসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দেয়া হবে। এই হাসপাতাল ছাড়াও ঢাকায় অনেকগুলো করোনা ইউনিট এবং হাসপাতাল তৈরি করা হয়েছে। সম্প্রতি মহাখালী বক্ষব্যাধি হাসপাতালে করোনা ইউনিট চালু করা হয়েছে। সেখানে ১০টি আইসিইউসহ ১৫৪টি শয্যা রয়েছে।’ তবে প্রচারণার অভাবে গতকাল (২ মে) পর্যন্ত ওই হাসপাতলে কোনো রোগী ভর্তি হননি। তাই প্রচারণার জন্য গণমাধ্যমের সহযোগিতা চান স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক।
ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল এ বি এম নাসির উদ্দিন বলেন, ‘স্বাস্থ্য অধিদফতরসহ সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতায় মাত্র ২০ দিনের মাথায় এই হাসপাতাল থেকে তৈরি করা হয়েছে। এখন পর্যায়ক্রমে হাসপাতালে সক্ষমতা বাড়ানো হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে রোগীরা চিকিৎসা নিতে আসছেন।’
অনুষ্ঠানে ডিএনসিসির প্রধান নিবার্হী কর্মকর্তা সেলিম রেজা প্রমুখ বক্তব্য দেন।
এমএমএ/ইএ/জিকেএস