মামলা পরিহারে মন্ত্রিসভা কমিটি
সরকারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কোনো বিরোধ দেখা দিলে তার জন্য আদালত নিরুৎসাহিত করা হবে। বিরোধি নিষ্পত্তিতে প্রথমে ‘সচিব কমিটির’ কাছে অভিযোগ করা যাবে। সেখানে নিষ্পত্তি না হলে সিনিয়র একজন মন্ত্রীর নেতৃত্বে গঠিত ‘মন্ত্রিসভা-কমিটির’ আপিল বোর্ডে চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হবে।
সচিব পর্যায়ের কমিটির নাম হবে ‘আন্তঃমন্ত্রণালয় আইনগত সহায়তা কমিটি’। সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এর অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের কাছে বিস্তারিত তুলে ধরেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলম।
আদালতের মামলা জট কমাতে নেওয়া এডিআর (অলটারনেটিভ ডিসপিউট রেজুলেশন) উদ্যোগের মতোই সরকারি প্রতিষ্ঠানের বিরোধ নিষ্পত্তিতে এ ধরনের উদ্যোগ নিলো সরকার।
দুইটি কমিটির গঠন বিষয়ে শফিউল আলম জানান, সচিব কমিটির প্রধান থাকবেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয়)। তার সঙ্গে বিরোধ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব বা তাদের প্রতিনিধি, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একজন প্রতিনিধি (ডিজি’র নিচে নয়), মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্মসচিব (সমন্বয়) এই কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। মোট সদস্য থাকবে ৫ জন।
এর বাইরে কমিটি মনে করলে নতুন সদস্য নিতে পারবে বা বিশেষজ্ঞমত গ্রহণ করতে পারবে।
আপিল কমিটির প্রধান হিসেবে সরকারের একজন সিনিয়র মন্ত্রী থাকবেন। এর সদস্য থাকবে ৮ জন। বিরোধ নিষ্পত্তি প্রত্যাশী দুই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী এবং সচিব, আইনমন্ত্রী ও সচিব, মুখ্যসচিব বা প্রধানমন্ত্রীর সচিব এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয়)। এর সঙ্গে আরো সদস্য যোগ করার দরকার হলে করা যাবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, আন্তঃমন্ত্রণালয়সহ সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মামলার বিষয়গুলো কাজের গতি কমিয়ে দিচ্ছে। তাই সরকার এই উদ্যোগ নিচ্ছে, যাতে সরকারের নিজেদের প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম নিজেরাই বাধাগ্রস্ত না করতে হয়।
তবে, সরকারি প্রতিষ্ঠানের বিরোধ সংক্রান্ত কত মামলা এখন আছে তা জানাতে পারেননি শফিউল আলম।
তিনি বলেন, বেশ কিছু মামলা রয়েছে। মামলার বাদীরা চাইলে প্রত্যাহার করে কমিটির কাছে আসতে পারবেন।
এসএ/এসএইচএস/আরএস/এমএস