ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

হাজতখানা থেকে পালিয়েছে আসামি এসআই

প্রকাশিত: ০৩:৩৬ পিএম, ২৯ নভেম্বর ২০১৫

পুলিশ হেফাজতে ব্যবসায়ীকে হত্যার অভিযোগে গ্রেফতারকৃত কাফরুল থানার সাবেক এসআই রেজাউল করীম পাটোয়ারী পুরান ঢাকার হাজতখানা থেকে পালিয়েছেন। রোববার বিকেলে তিনি হাজতখানা থেকে পালিয়ে যান।

মহানগর দায়রা জজের গারতখানার দায়িত্বপ্রাপ্ত এসআই মোকাব্বর ইসলাম জানান, তাকে গ্রেফতারে পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালাচ্ছে। এই ঘটনায় কোতয়ালী থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ২২৪ ধারায় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবুল হাসান জাগো নিউজকে বলেন, পুরান ঢাকার হাজতখানা থেকে পালানোর ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। মামলা নং ২৫। মহানগর দায়রা জজের গারতখানার দায়িত্বপ্রাপ্ত এসআই মোকাব্বর ইসলাম বাদী হয়ে রাত পৌনে ৯টায় মামলাটি দায়ের করেন।

ওসি বলেন, মামলার পর থেকেই পলাতক রেজাউল করীম পাটোয়ারীকে ধরতে অভিযান শুরু হয়েছে। চারদিকে ফোর্স নিয়োগ করা হয়েছে।

কাফরুল থানা সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালে ২৮ ফেব্রুয়ারি কাফরুল থানায় পুলিশ হেফাজতে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ থানার সাহেবগঞ্জ গ্রামের মৃত জামাল হকের ছেলে ব্যবসায়ী ফারুক হোসেনের মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল ফারুকের বোন পারভীন হক ঢাকা সিএমএম আদালতে এ হত্যা মামলা করেন।

মামলায় আসামিরা হলেন- কাফরুল থানার সাবেক দুই এসআই মো. নুরুজ্জামান ও মো. রেজাউল করিম পাটোয়ারী এবং সোর্স বাবু ওরফে রতন ওরফে বাবু মিয়া।

সেই বছর ৬ নভেম্বর আদালত মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন। কাফরুল থানা পুলিশ মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করেন। এরপর আসামিরা আত্মসমর্পণ করলে তাদের পুলিশ রিমান্ডে নেয়া হয়। পরবর্তীকে মামলাটি সিআইডি তদন্ত করে। সিআইডির পরিদর্শক মাজহারুল হক গত ১ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। আসামিরা এতদিন কারাগারে ছিলেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ থানার সাহেবগঞ্জ গ্রামের মৃত জামাল হকের ছেলে ফারুক হোসেন কামাল রাজধানীর কাফরুল এলাকায় থেকে সাব-কন্ট্রাকটরেরর কাজ করতেন। ২০১২ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় আসামি এসআই নুরুজ্জামান ও সোর্স রতন কাফরুল ধানাধীন ভান্ডারি স্টিলের দোকান থেকে ফারুক হোসেনকে মামলা আছে বলে কাফরুল থানায় নিয়ে যায়।

ওই দিন রাত ১১টায় বাদী থানায় গেলে থানা হাজতে তার ভাইয়ের চিৎকার শুনতে পান। পুলিশকে ম্যানেজ করে ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করলে আসামি এসআই নুরুজ্জামান ও এসআই রেজাউল করিম পাটোয়ারী এবং সোর্স রতন ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। টাকা না দিলে আসামিরা ব্যবসায়ী ফারুককে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দেয়।

২০১২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি আসামিরা ফারুককে কাফরুল থানার ৫৭ (২) ১২ নম্বর মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠায়। আদালত আসামির শরীরে জখমের চিহ্ন দেখে রিমান্ড নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান।

২০১২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি কারাগারে ফারুক গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে কারা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে কারা হাসপাতালে তার রক্তবমি হলে তাকে ২০১২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়। সেখানে ওই দিন রাত সাড়ে ১১টায় তিনি মারা যান।

জেইউ/এসএইচএস/আরআইপি