ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

পাটের ব্যাগ ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে সোমবার থেকে অভিযান

প্রকাশিত: ১২:৪৭ পিএম, ২৯ নভেম্বর ২০১৫

কারাদণ্ড, অর্থদণ্ড, ব্যাংক ঋণ সুবিধা বন্ধ, লাইসেন্স বাতিল, আইআরসি বা ইআরসি বাতিলের বিধান রেখে সোমবার থেকে পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন-২০১০ বাস্তবায়নে অভিযান শুরু করবে সরকার। ধান, চাল, গম, ভুট্টা, সার ও চিনি পরিবহনে দেশের বিভাগ, জেলা, উপজেলা পর্যায়ে এ অভিযান পরিচালিত হবে বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম। রোববার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনিএ কথা বলেন।সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ অভিযান মনিটরিংয়ের জন্য বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিবদের সমন্বয়ে ১০টি পৃথক তদারকি দল গঠন করা হয়েছে। আইন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আগামী দুই মাসে যে পরিমাণ পাটের বস্তার প্রয়োজন তা ইতোমধ্যে মজুদ রয়েছে। এসব সরবরাহ করবে রাষ্ট্রায়াত্ব প্রতিষ্ঠান বিজেএসসি।

মির্জা আজম বলেন, পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন-২০১০- বাস্তবায়নে রকার কঠোর অবস্থানে রয়েছে।আইনের ধারা ১৪ অনুযায়ী পাটের মোড়ক ব্যবহার না করলে অনূর্ধ্ব এক বছর কারাদণ্ড বা অনধিক ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে। এ অপরাধ পুনঃসংগঠিত হলে সর্বোচ্চ দণ্ডের দ্বিগুণ দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে।

এ ছাড়া ছয়টি পণ্যে পাটের মোড়ক ব্যবহার না করলে ব্যাংক ঋণ সুবিধা প্রদান করা হবে না। ইতোমধ্যে তফসিলি ব্যাংকগুলো এ বিষয়ে নির্দেশনা জারি করেছে। একই সঙ্গে চাতাল মিল মালিকগণ পাটের ব্যাগ ব্যবহার না করলে খাদ্য মন্ত্রণালয় তাদের লাইসেন্স বাতিল করবে। পাশাপাশি আমদানি ও রফতানিকালে পাটের ব্যাগ ব্যবহার না করলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আইআরসি বা ইআরসি বাতিল করবে।

তিনি আরো বলেন, সড়ক, মহাসড়ক, চাল উৎপাদকারী এলাকাসহ ঢাকার প্রবেশমুখ ও দেশের স্বরাষ্ট্র, পরিবেশ ও বন, নৌ ও সড়ক পরিবহন, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়, পাট অধিদফতর, পরিবেশ অধিদফতর, স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, বিআইডাব্লিউটিএ, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও র্যা বের সহায়তায় অভিযান পরিচালিত হবে। প্রাথমিক অবস্থায় বাস, ট্রাক, পিকআপে পরিবহনযোগ্য ৫০ কেজির প্লাস্টিক বা পলিথিনের বস্তা ব্যবহাররোধে অভিযান পরিচালনা করা হবে। পরবর্তীতে এক থেকে পাঁচ বা ১০ থেকে ২০ কেজির প্লাস্টিক বা পলিথিনের বস্তা ব্যবহাররোধে অভিযান পরিচালনা করা হবে।

এসএ/একে/এএইচ/পিআর