ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

গরমে হাঁসফাঁস করছে নগরবাসী

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশিত: ০৭:২৮ পিএম, ২৫ এপ্রিল ২০২১

রোববার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকায় রাস্তার পাশে গাছের ছায়ায় রিকশার সামনের সিটে পা তুলে পেছনের সিটে শুয়ে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন আনুমানিক ২০/২২ বছরের এক যুবক। রিকশার হ্যান্ডেলের সামনে ঝুলছিল একটি মাস্ক। পাশেই আরও দুজন রিকশাচালক বসে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। অদূরে সিগন্যালে দায়িত্বরত একজন পুলিশ কনস্টেবলকেও এগিয়ে এসে গাছতলায় দাঁড়াতে দেখা যায়। তার ডাকে ওই রিকশাচালক জেগে ওঠেন।

এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে আলম মিয়া নামের ওই তরুণ রিকশাচালক বলেন, ‘একটু আগে ফার্মগেট থাইক্যা একটা ক্ষ্যাপ (যাত্রী) নিয়া আইছি, এত্ত গরম, পরানডা বুঝি ফাইট্যা যায়। যাত্রীকে নামিয়ে দিয়েই চোখমুখে অন্ধকার দেহি। তাই একটু লম্বা অইয়া শ্বাস লইতাছি।’

jagonews24

শুধু দরিদ্র রিকশাচালক কিংবা ট্রাফিক পুলিশরাই নন গত কয়েকদিনের গরমে হাঁসফাঁস করছে নগরবাসী। বাসাবাড়ি, অফিস কিংবা রাস্তাঘাট কোথাও শান্তি মিলছে না। গত বেশ কিছুদিন ধরে বৃষ্টির দেখা নেই। প্রখর রোদে ঘর-বাইর সব জায়গা এখন উত্তপ্ত হয়ে উঠছে।

আবহাওয়া অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, শ্রীমঙ্গল অঞ্চলসহ ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও রাজশাহী বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তা অব্যাহত থেকে বিস্তার লাভ করতে পারে।

jagonews24

আজ রোববার (২৫ এপ্রিল) দেশে গত সাত বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে যশোরে ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে ২০১৪ সালে চুয়াডাঙ্গায় ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল।

আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, আজকের আগে চলতি মৌসুমে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ২০ এপ্রিল ৪০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাছাড়া ১৯ ও ২৪ এপ্রিল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল।

jagonews24

রোববার সরেজমিন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা, গেছে প্রচণ্ড গরমে হাঁসফাঁস করছে মানুষ। রাস্তাঘাটে অনেকেই প্রখর রৌদ্রকিরণ থেকে রক্ষা পেতে ছাতা মাথায় বের হয়েছেন। শ্রমজীবী মানুষ বিশেষ করে রিকশাচালক ও ঠেলা-ভ্যানগাড়িচালকরা গরমে ঘেমে অস্থির হচ্ছেন। কিছুক্ষণ পর পর গামছা দিয়ে মুখ মুছছেন। তবুও গরম কাটছে না।

রাজধানীর লালবাগের বাসিন্দা গৃহবধূ আসমা খাতুন বলেন, ‘গত কয়েকদিন ধরে রোজা রেখে গরমে অস্থির হচ্ছি। একাধিকবার গোসল করে শান্তি পাবো তারও জো নেই। প্রচণ্ড রোদে ছাদের ট্যাংক গরম হয়ে পাইপ দিয়ে গরম পানি বের হয়। রান্না ঘরে ইফতারির জোগাড় করতে গিয়ে রীতিমতো ঘেমে গোসল করতে হয়।’

এমইউ/এমআরআর/এমকেএইচ