গুলিস্তান-যাত্রাবাড়ীর সড়কে রিকশা-সিএনজির আধিপত্য
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সারাদেশে চলছে সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধ। তবে এর মধ্যেও জরুরি সেবা কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্তরা চলাচল করতে পারছেন। এর বাইরেও সড়কে রিকশা-সিএনজিতে যাতায়াত করছে বিভিন্ন পেশার মানুষ। ফলে সড়কে রিকশা ও সিএনজির আধিপত্য লক্ষ্য করা গেছে।
বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) লকডাউনের নবম দিনে রাজধানীর শনির আখড়া, যাত্রাবাড়ি, গুলিস্তান ও পল্টন ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কে গণপরিবহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকায় এ ধরনের যানবাহন চলছে না। ফলে রিকশা ও সিএনজিতে বিভিন্ন গন্তব্যে যাত্রা করছে মানুষ। কেউ কেউ ভ্যানে করেও চলাচল করছে। তবে লকডাউনে সড়কে অনেকটা নীরবতা লক্ষ্য করা গেছে।
যাত্রাবাড়িতে কথা হয় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত রামিসা আক্তারের সঙ্গে। তিনি বলেন, সরকার লকডাউন দিলেও আমাদের অফিসতো খোলা। তাই কষ্ট করেই অফিসে যেতে হচ্ছে। কিন্তু বাস না থাকায় রিকশা ও সিএনজি কয়েকগুণ বেশি ভাড়া চাইছে। আধাঘণ্টা যাবত এখানে দাঁড়িয়ে থেকেও অফিসের উদ্দেশ্যে রওনা করতে পারিনি।
গুলিস্তান হানিফ ফ্লাইওভারের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা সিএনজিচালক মাসুদ মোল্লা জানান, ‘রাস্তায় অনেক ঝুঁকি নিয়া বাহির হইছি। তারপরও ঠিকমতো যাত্রী পাইতাছি না। যাত্রী পাইলেও ভাড়া কম কয়, তাই দাঁড়াইয়া রইছি। আর বড় বড় রাস্তায় সার্জেন্ট ধরলে তো হাজার টাকার মামলা দিবোই। তাই ওই দিকে খুব একটা যাই না, ফ্লাইওভারেই যাত্রী পারাপার করি।’
স্টেডিয়াম মার্কেটের সামন কথা হয় রিকশাচালক আব্দুল আলিমের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘সকাল থেকে বের হয়ে ১২০ টাকার খ্যাপ মারছি। রাস্তায় যাত্রী নাই তেমন। আবার ট্রাফিক ধরলে রিকশা উলডাইয়া রাহে। বিকাল পর্যন্ত রিকশা চালামু, দেহি ভাগ্যে কি আছে? গরীবের কোনো জায়গায় শান্তি নাই।’
আইএইচআর/এআরএ/এমকেএইচ