মাস্ক পরায় ক্রেতারা সচেতন, বিক্রেতারা ড্যামকেয়ার!
সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউনের আজ (শুক্রবার) তৃতীয় দিন চলছে। করোনার ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ ও মৃত্যু রোধে লকডাউন চলাকালে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের না হওয়া, বিশেষ প্রয়োজনে বের হলেও মুখে মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশ রয়েছে।
এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর পদক্ষেপের ফলে সাধারণ মানুষের মাঝে মাস্ক পরিধানে সচেতনতা বেড়েছে। বিশেষ করে বাজার এলাকায় সাধারণ ক্রেতাদের প্রায় সকলের মুখেই মাস্ক দেখা গেছে। তবে বাজারের বিক্রেতাদের মধ্যে এখনও মাস্ক পরিধানে ড্যামকেয়ার ভাব দেখা গেছে।
রোগতত্ত্ব রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) এর সাম্প্রতিক জরিপে দেখা গেছে বাজার থেকেই ৬১ শতাংশ করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঘটছে। বিশেষজ্ঞরা সংক্রমিত হওয়ার উৎসস্থল নিয়ন্ত্রণের পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু বাস্তবে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে বিক্রেতাদের মধ্যে মাস্ক পরিধান এখনও বাধ্যতামূলক করা সম্ভব হয়নি।
শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) রাজধানীর কারওয়ান বাজার ও নিউমার্কেটে সরেজমিনে দেখা গেছে, লকডাউন স্বত্ত্বেও বাজারে বিপুল সংখ্যক ক্রেতার উপস্থিতি। ক্রেতাদের অধিকাংশের মুখেই মাস্ক দেখা গেলেও সে তুলনায় বিক্রেতাদের মুখে মাস্কের সংখ্যা খুবই কম। বিক্রেতাদের মধ্যে বয়স্ক যাদের সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি বেশি, তাদের মধ্যেও মাস্ক পরিধানে অনীহা দেখা গেছে। কারও কারও মুখে মাস্ক থাকলেও তা থুতনীর নিচে নামিয়ে রাখা।
কারওয়ান বাজারে কাঁচাবাজার করতে আসা আজিমপুরের বাসিন্দা মনোয়ার হোসেন বলেন, কাঁচাবাজার করতে এসে বিক্রেতাদের অধিকাংশকেই মাস্ক পরিধান করতে দেখলাম না। তাদের মধ্যে ড্যামকেয়ার ভাব। সরকার যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে কঠোর লকডাউন দিয়েছে, তা তাদের বোঝানোরও কেউ নেই।’
সেখানে শসা বিক্রেতা বৃদ্ধ আজগর আলীর কাছে মাস্ক নামিয়ে রেখেছেন কেন, এমন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘যা গরম পড়ছে, ঘামে মাস্ক ভিইজ্যা গেছে। শুকানোর লাইগ্যা নামাইয়া রাখছি।’
তবে বিক্রেতাদের মধ্যেও সচেতন মানুষ রয়েছে। কারওয়ান বাজারের আলুর দোকানের সামনে একজন শ্রমিককে মুখে মাস্ক লাগিয়েই ঘুমাতে দেখা যায়। তার পাশেই বসে থাকা আরেক শ্রমিক বলেন, ‘আলমে করোনারে বেশি ডরায়, তাই সব সময় মাস্ক পইরা থাকে।’
এমইউ/এমএইচআর/জেআইএম