করোনাভাইরাস : প্রতিদিনই রায়েরবাজারে খোঁড়া হচ্ছে ২০-২৫টি নতুন কবর
দেশে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়েছে। বুধবার (১৪ এপ্রিল) দেশে রেকর্ড ৯৬ জনের মৃত্যু হয় এই মহামারিতে।
গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৯৪ জনের।
এমন পরিস্থিতিতে কর্মব্যস্ততা বেড়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) আওতাভুক্ত রায়েরবাজার কবরস্থানের কর্মীদের। মরদেহ সমাহিত করতে খুঁড়তে হচ্ছে নতুন নতুন কবর। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতদের যেসব কবরে সমাহিত করা হয় সেগুলো খোঁড়া হয় এক্সক্যাভেটর (ভেকু) মেশিন দিয়ে। এরপর যথাযথ সর্তকতা অবলম্বন করে মরদেহ সমাহিত করা হয় বলে জানান কর্মীরা।
রায়েরবাজার কবরস্থানের কর্মীরা জানান, এ মেশিন দিয়ে প্রতিদিন ২০ থেকে ২৫টি কবর খোঁড়া হয়ে থাকে। এ পদ্ধতিতে প্রতিটি কবর খুঁড়তে প্রায় ১০ মিনিট সময়ের প্রয়োজন। দ্রুত দাফন প্রক্রিয়া শেষ করতে আগে থেকেই কিছু কবর খুঁড়ে রাখা হয়।
সেখানে কর্মরত আজমল আলী জাগো নিউজকে বলেন, সিটি করপোরেশনের নির্দেশ অনুযায়ী করোনা মৃত ব্যক্তিদের দাফন করতে এক্সক্যাভেটর ব্যবহার করে কবর তৈরি করা হচ্ছে। উদ্দেশ্য হলো- সংশ্লিষ্ট কর্মীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং দ্রুত কাজ সম্পন্ন করা। প্রতিদিন প্রায় ২০ থেকে ২৫টি কবরের কাজ করতে হয়।
তিনি আরও বলেন, প্রথমে মেশিন দিয়ে একসঙ্গে ২০ থেকে ২৫টি কবর তৈরি করা হচ্ছে। মরদেহ শায়িত করার পর শ্রমিকরা কোদাল দিয়ে মাটি ভরাটের কাজটি করেন।
রয়েরবাজার কবরস্থানের সিনিয়র মোহবার আব্দুল আজিজ জাগো নিউজকে বলেন, করোনাভাইরাস মহামারি শুরুর পর থেকেই সিটি করপোরেশনের নির্দেশে করোনায় আক্রান্ত মৃতদের কবর তৈরিতে ভেকু ব্যবহার করা হচ্ছে। অত্যন্ত সর্তকর্তার সঙ্গে করোনায় মৃত ব্যক্তিদের দাফনের কাজটি করা হচ্ছে। তবে প্রতিদিন ঠিক কতটি মরদেহ দাফন করা হচ্ছে সে বিষয়ে কিছু বলতে রাজি হননি তিনি।
তিনি জানান, জানুয়ারিতে ২০জন, ফেব্রুয়ারিতে ৯জন, মার্চে ৫৫জন এবং এপ্রিলে এখন পর্যন্ত ১১০ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত ব্যক্তিকে দাফন করা হয়েছে রায়েরবাগে।
এমএইচএম/এসএস/জিকেএস/এএসএম