ঐতিহ্যকে ধারণ করে পহেলা বৈশাখ মিশে গেছে আধুনিক জীবনে
গোটা বিশ্বকে গ্রাস করেছে মহামারি করোনাভাইরাস। প্রাণঘাতী এ ভাইরাসের কবলে বাংলা-বাঙালির জনপদও। এই মহামারির মধ্যেই এসেছে বাংলা নবববর্ষ। আজ বুধবার (১৪ এপ্রিল) নববর্ষের প্রথম দিন অর্থাৎ পহেলা বৈশাখ। করোনা মহামারির কারণে গত বছরের মতো এবারও উৎসবহীন পহেলা বৈশাখ যাচ্ছে বাঙালির।
আসলে বাঙালি কীভাবে নববর্ষকে উদযাপন করছে এবার? এ নিয়ে জাগো নিউজের বিশেষ আয়োজন ‘করোনাকালের বৈশাখ’। জাগো নিউজের সহকারী সম্পাদক ড. হারুন রশীদের সঞ্চালনায় এই আয়োজনে অতিথি হয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও গণসংগীতশিল্পী ফকির আলমগীর এবং অর্থনীতিবিদ ড. নাজনীন আহমেদ।
ফকির আলমগীর বলেন, করোনাকালীন প্রেক্ষাপটে আমরা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করেছি। এখন এসেছে বাংলা নববর্ষ। পহেলা বৈশাখ, বাংলা নববর্ষ উদযাপন বাঙালি সংস্কৃতির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। বাংলাদেশের সর্বস্তরের মানুষ সার্বজনীনভাবে এই উৎসবটি উদযাপন করে থাকে। করোনাকালে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাঙালি এবারও তার এই উৎসব উদযাপন করছে।
তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন অনুষ্ঠান হয় বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর কিন্তু এই পহেলা বৈশাখ হলো সার্বজনীন, এটা সবার অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠান যেকোনোভাবে আমাদের উদযাপন করতে হবে। এই করোনা ক্রান্তিকাল হয়তো একদিন থাকবে না। তখন আমরা একতারা বাজিয়ে, দোতারা বাজিয়ে, বয়াতি বেশে আবার মিলনমেলা করে পহেলা বৈশাখ উদযাপন করবো।
অর্থনীতিবিদ ড. নাজনীন আহমেদ বলেন, বাংলা নববর্ষের সূচনাটা হয়েছে অর্থনৈতিক কারণকে ঘিরে। সম্রাট আকবর তার শাসনকালে কৃষকের ফসল তোলার সময় ট্যাক্স (খাজনা) কালেকশনের সময়টাকে মেলানোর জন্য বাংলা ক্যালেন্ডারের প্রচলন করেছিলেন বলে জানা যায়। সেই সময়টায় ট্যাক্স কালেকশন হবে, একটা নতুন হিসাবের খাতা খোলা হবে এবং সেই উপলক্ষে মিষ্টি বিতরণ হতো, মেলা বসত। কালের পরিক্রমায় সেটার কলেবর অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা দেখি যে নগর জীবনে এটার একটা রূপ এবং গ্রামীণ জীবনে আরেকটা রূপ। এভাবে আমাদের এখনকার যে নববর্ষ সেটা যেমন অতীতের ঐতিহ্য ধরে রেখেছে, সেইসঙ্গে আধুনিক জীবনের অনেক বিষয় যুক্ত হয়েছে।
দুই অতিথিই বাঙালির লোকজ সংস্কৃতি, পহেলা বৈশাখ এবং বর্তমান পরিস্থিতি প্রভৃতি বিষয়ে কথা বলেন এই বিশেষ আয়োজনে। বিস্তারিত থাকছে ভিডিওতে।
এমআরআর/এইচএ/জেআইএম