মিরপুরে কাঁচাবাজারে উপচেপড়া ভিড়
কঠোর বিধিনিষেধ ও রমজানের পূর্বমুহূর্তে মিরপুরের কাঁচাবাজারে মানুষের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। মানুষের ভিড়ে বাজারে তিলধারণের ঠাঁই নেই। আগত ক্রেতা-বিক্রেতাদের কারো কারো মুখে মাস্ক দেখা গেলেও অধিকাংশের মাস্ক নিচে নামিয়ে রেখে কেনাবেচা করতে দেখা গেছে। অনেকে আবার মাস্ক ছাড়াই বাজারে ঘোরাফেরা করছেন দেখা যায়। স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই বাজারের কোনো স্থানে।
মিরপুর পাইকপাড়ার মিজানুর রহমান পরিবার নিয়ে মিরপুর-১ নম্বর কাঁচাবাজারে এসেছেন প্রয়োজনীয় কেনাকাটা করতে। মাস্ক না পরেই তাকে বাজারে কেনাকাটা করতে দেখা যায়। তার সঙ্গে কথা হলে জানান, কাল বুধবার থেকে রমজান ও লকডাউন শুরু হচ্ছে। এ কারণে প্রয়োজনীয় সব বাজার করতে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে এসেছেন।
মাস্ক পরেননি কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, মাস্ক পরে এসেছিলাম কিন্তু অনেক গরম পড়ায় পকেটে রেখেছি।
মাস্ক পরলেও থুঁতনির নিচে রেখে পণ্য বিক্রি করছিলেন হায়দার আলী নামে এক দোকানদার। তার সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, গরমের মধ্যে বেশিক্ষণ মাস্ক পরে থাকা সম্ভব হয় না বলে মাঝে মাঝে খুলে রাখেন।
দেখা গেছে, মিরপুর-১ নম্বর ঐতিহ্যবাহী ও বড়বাজার হওয়ায় পার্শ্ববর্তী এলাকার মানুষজন এ বাজারে এসে প্রয়োজনীয় কেনাকাটা করে থাকেন। এ বাজারে সবকিছু পাওয়া যায় বলে স্বাভাবিকভাবে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মানুষের আনাগোনা থাকে। তবে গত কয়েক দিন দেশে চলমান বিধিনিষেধ থাকায় ক্রেতাদের বিচরণ কমে গেলেও বুধবার থেকে রোজা ও সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধ শুরু হওয়ার কারণে হঠাৎ করে এদিন সকাল থেকে কাঁচাবাজারে উপচেপড়া ভিড় দেখা যায়। এতে করে সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করা দূরের কথা ভিড় ঠেলে ক্রেতা-বিক্রেতারা কেনাবেচা করছেন।
মিরপুর ৬০ ফিটের লাকি আক্তার তার ছোট শিশুকে নিয়ে বাজারে এসেছেন। তিনি বলেন, কাল থেকে লকডাউন ও রোজা শুরু হবে, এ কারণে বাজারে এসেছেন প্রয়োজনীয় কেনাকাটা করতে। ছয় মাসের শিশুকে বাজারের ভিড়ের মধ্যে সঙ্গে আনার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্বামী অফিসে গেছেন। ছোট শিশুকে বাসায় রেখে আসার মতো সুযোগ নেই বলে সঙ্গে এনেছেন।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কাঁচাবাজার, মাছবাজার, মুদিদোকান, মাংসের দোকান, রমজানের প্রয়োজনীয় খাদ্য দরকার দোকানসহ সকল জায়গায় ক্রেতাদের ভিড় দেখা যায়। একজন আরেকজনকে ঠেলে প্রয়োজনীয় জিনিস কেনার চেষ্টা করছেন। এতে করে সহজেই একজনের মধ্যে থেকে অন্যজনের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে। তবে বাজারে মানুষের মধ্যে সেই ধরনের আশঙ্কা কারো মধ্যেই লক্ষ করা যায়নি।
এমএইচএম/এআরএ/এএসএম