দূরপাল্লার বাস বন্ধ : গাড়ির আশায় গাবতলীতে অপেক্ষা
লকডাউনেও গাবতলী বাস টার্মিনালে ঘরমুখী মানুষের উপস্থিতি দেখা গেছে। বিভিন্ন কারণে ঢাকায় আটকে যাওয়া মানুষ সোমবার ভোর থেকে বাড়ি যেতে গাবতলী বাসস্ট্যান্ডে এসে অপেক্ষা করছেন। তবে দূরপাল্লার বাস বন্ধ থাকায় তারা বিপাকে পড়েছেন।
সোমবার গাবতলী বাস টার্মিনালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সারা দেশে লকডাউনের কারণে সব বাস কাউন্টারে টিকিট বিক্রি বন্ধ রয়েছে। টার্মিনালে দূরপাল্লার বাসগুলো সারিবদ্ধভাবে পার্কিং করে রাখা হয়েছে। এর মধ্যেই নানান কারণে গতকাল বাড়ি যেতে না পারা মানুষ সোমবার গাবতলী বাসস্ট্যান্ডে ভিড় করছেন।
গত এক সপ্তাহ ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন যশোরের কালাম হোসেনের মা আমেনা বেগম। আজ সোমবার তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়ায় তারা সকাল ৯টায় গাবতলী এসে বাড়ি যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন।
কালাম হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ‘মায়ের অসুস্থতার কারণে যশোর থেকে ঢাকায় ডাক্তার দেখাতে এসেছিলাম। ডাক্তারের পরামর্শে আমার মাকে হাসপাতালে এক সপ্তাহ ভর্তি রাখা হয়। আজ সকালে রিলিজ দিয়েছে। এ কারণে আমার স্ত্রী ও মাকে নিয়ে যশোর যাওয়ার জন্য গাবতলীতে এসেছি। এখানে এসে গাড়ি না পেয়ে বিপাকে পড়েছি। যশোর যাওয়ার জন্য নানান ভাবে চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে বসে আছি।’
বান্দরবান থেকে ঢাকায় এসে আটকা পড়েছেন বুলু রানী ও তার পরিবারের সদস্যরা। তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বান্দরবান থেকে ঢাকায় একটি জরুরি কাজে পরিবার নিয়ে এসেছিলেন। দূরপাল্লার বাস বন্ধ থাকলে বিকল্প পন্থায় বাড়ি ফিরে যাবেন সেই চিন্তায় সকালে গাবতলী বাস টার্মিনালে এসে অপেক্ষা করছেন। যেতে না পেরে তারাও বিপাকে পড়েছেন।
শাহনাজ বেগম নামের এক নারী জানান, ননদের বাচ্চা নিয়ে তিনি ঢাকা শিশু হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। সোমবার সকালে হাসপাতাল থেকে রিলিজ দেওয়ায় বাড়ি যাওয়ার জন্য গাবতলী এসেছেন। বাস বন্ধ থাকায় তারাও অপেক্ষা করছেন বিকল্পের।
এদিকে লকডাউনের মধ্যেও গাবতলী বাস টার্মিনালে বেশ কিছু কাউন্টার খোলা দেখা গেছে। তবে এসব কাউন্টারে টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে না। স্টাফদের বেতন পরিশোধ করার জন্য খোলা রয়েছে বলে কাউন্টারের কর্মীরা জানিয়েছেন।
অন্যদিকে লকডাউনের মধ্যে দূরপাল্লার বাস চলাচল করছে কি না ও রাস্তায় চলাচলরত পরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে কি না এসব বিষয় খতিয়ে দেখতে ঢাকা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মনীষা রানী কর্মকার গাবতলী বাস স্ট্যান্ডে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করেছেন।
দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, ‘পরিবহনে সরকারি আইন অমান্য করা হচ্ছে কি না বিষয়গুলো দেখতে আমরা মাঠে নেমেছি। ঢাকা জেলা প্রশাসকের দশটি ভ্রাম্যমাণ টিম ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছে। মাস্ক না পরায় বেশ কয়েকজনকে জরিমানা করা হয়েছে।
এমএইচএম/এমএইচআর/এমকেএইচ
সর্বশেষ - জাতীয়
- ১ আজম-পলক পরিবারের ১৩৬ ব্যাংক হিসাব, হাজার কোটির অস্বাভাবিক লেনদেন
- ২ প্রশাসন ছাড়া অন্য ক্যাডারে বঞ্চিত কর্মকর্তাদের আবেদনের পরামর্শ
- ৩ অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর আস্থা কমেছে ৮ শতাংশ মানুষের
- ৪ দেড় শতাধিক যাত্রী নিয়ে মাঝ সমুদ্রে বিকল সার্ভিস বোট, পরে উদ্ধার
- ৫ শিক্ষার্থীরা রাজনৈতিক দল করলে ভোট দেবেন ৪০ শতাংশ মানুষ