নষ্ট থার্মোমিটারে বিমানবন্দর রেলস্টেশনে মাপা হচ্ছে তাপমাত্রা
রাজধানীর বিমানবন্দর রেলস্টেশনের প্রধান ফটকের সামনে রোববার (৪ এপ্রিল) সকাল ৬টা থেকে প্লাস্টিক স্ট্রিপ থার্মোমিটার হাতে দায়িত্ব পালন করছেন আনসার সদস্য আব্দুল মোতালেব। বেলা ১১টা পর্যন্ত কয়েক হাজার যাত্রী এই স্টেশন দিয়ে যাতায়াত করেছেন। কিন্তু তাদের কারোরই শরীরের তাপমাত্রা মাপতে এই থার্মোমিটার ব্যবহার করা হয়নি।
জানতে চাইলে আবদুল মোতালেব বলেন, ‘তার হাতের এই থার্মোমিটার নষ্ট। তাই যাত্রীদের শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না। কর্তৃপক্ষকে এটি ঠিক করে কিংবা নতুন থার্মোমিটার দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু এখনো নতুন থার্মোমিটার পাইনি।’
তিনি বলেন, ‘লকডাউনের খবরে বিমানবন্দর স্টেশনে ঘরমুখো মানুষের উপচেপড়া ভিড়। তবে মাক্স ছাড়া কাউকে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না।’
বিমানবন্দর রেলস্টেশন সূত্র জানায়, সোমবার (৪ এপ্রিল) থেকে দেশে লকডাউন ঘোষণা করতে পারে সরকার। এমন আশঙ্কায় ঘরমুখো মানুষের ঢল নেমেছে। অনেকেই পরিবার-পরিজন নিয়ে গ্রামের বাড়ি ছুটছেন। ফলে অন্যান্য দিনের তুলনায় রোববার দ্বিগুণের বেশি যাত্রী এই স্টেশন দিয়ে যাতায়াত করছেন। তবে সক্ষমতা না থাকায় সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে পারছে না রেল কর্তৃপক্ষ।
সরেজমিনে দেখা যায়, পুরো বিমানবন্দর রেলস্টেশনের প্লাটফর্ম মানুষে ভরা। কোথাও বসার জায়গা নেই। স্টেশনে ট্রেন আসলে হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন যাত্রীরা। ট্রেনের ভেতরে গাদাগাদি করে যাচ্ছেন তারা। অনেকে দাঁড়িয়ে গন্তব্যে ছুটছেন। এর আগে স্টেশনে ঢুকতে কারও শরীরের তাপমাত্রাই মাপা হচ্ছে না। অনেকে মাক্স ছাড়াই স্টেশনে ঢুকছেন। কেউ বাধা দিচ্ছে না। তবে এই প্রতিবেদককে দেখে নষ্ট থার্মোমিটার দিয়েই যাত্রীদের তাপমাত্রা মাপার চেষ্টা করছিলেন আনসার আবদুল মোতালেব।
জানতে চাইলে বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার আলমগীর হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ‘করোনা সংক্রমণ রোধে ৫০ শতাংশ যাত্রী পরিবহন করছে রেলওয়ে। কিন্তু লকডাউনের খবর পেয়ে স্টেশনে যাত্রীদের উপস্থিতি অনেক বেড়েছে। তাদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে চেষ্টা করছি। স্টেশনে ঢোকার আগে প্রত্যেকের মাস্ক পরা নিশ্চিত করা হচ্ছে।’
থার্মোমিটার দিয়ে শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি।
এমএমএ/ইএ/এমএস