ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

সরকারের অবহেলায় সোনালী আঁশ বিলুপ্তির পথে

প্রকাশিত: ০৯:৫৬ এএম, ২৫ নভেম্বর ২০১৫

পলিথিন ব্যবহারের কারণে জনজীবন ও জনস্বাস্থ্যের পাশাপাশি পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে। এর ফলে পরিবেশবান্ধব পাটের কদর কমে যাচ্ছে। এছাড়া কমছে পাট চাষ, বন্ধ হচ্ছে পাট উৎপাদিত পণ্যের কারখানা। সারাবিশ্বে পাটের কদর বাড়লেও বাংলাদেশে সরকারের অবহেলায় সোনালী আঁশ বিলুপ্তির পথে রয়েছে।

বুধবার সকাল ১০টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সামনে এক মানববন্ধনে বক্তারা এসব কথা বলেন।

‘পলিথিন নিয়ন্ত্রণ ও পাটজাত দ্রব্য সহজলভ্য কর’ দাবিতে মানববন্ধনটি যৌথভাবে আয়োজন করে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা), নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ ফোরাম (নাসফ), আইনের পাঠশালা, ইয়থ সান ও ঢাকা যুব ফাউন্ডেশন ও পুরান ঢাকা নাগরিক। এসময় বক্তারা পাট শিল্পকে ফিরিয়ে আনতে সরকারকে কার্যকর ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইনানুসারে যে কোনো প্রকার পলিথিন শপিং ব্যাগ, পলিথাইলিন বা পলিপ্রপাইলিনের তৈরি যে কোনো সামগ্রী উৎপাদন, আমদানি, বাজারজাতকরণ, বিক্রয় কিংবা বিতরণ নিষিদ্ধ। অথচ রাজধানী জুড়ে গড়ে উঠেছে অন্তত এক হাজার নিষিদ্ধ পলিথিন তৈরির কারখানা। ঢাকার এসব নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে করছে একাধিক প্রভাবশালী সিন্ডিকেট।

বক্তারা আরো বলেন, বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন-১৯৯৫ (২০০২ সালের ৯ নং আইন দ্বারা সংশোধিত) এর ৬ (ক) ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সরকার সকল পলিথিন ব্যাগ বা এ রুপ সামগ্রীর ব্যবহার সম্পূর্ণরুপে নিষিদ্ধ করেছে। অথচ রাজধানীসহ সারাদেশে প্রায় এক হাজার নিষিদ্ধ পলিথিন তৈরির কারখানা রয়েছে। এগুলোর বেশিরভাগই পুরান ঢাকা কেন্দ্রীক। ঢাকার পলিথিন ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে একাধিক প্রভাবশালী সিন্ডিকেট রয়েছে। মিরপুর, কারওয়ান বাজার, তেজগাঁও, কামরাঙ্গীচর ও টঙ্গীতে বেশ কিছু কারখানা রয়েছে। যাত্রাবাড়ী থেকে নারায়নগঞ্জ পর্যন্ত গড়ে উঠেছে শতাধিক কারখানা। এছাড়া চট্টগ্রামসহ জেলা শহরগুলোতে গড়ে উঠেছে শতাধিক কারখানা। পলিথিন বাজারজাতকরণে পরিবহণ সিন্ডিকেট নামে আরেকটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট কাজ করছে।

বক্তারা পলিথিন নিষিদ্ধকরণ আইনের বাস্তবায়ন করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। এ আইনের অমান্যকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় নিয়ে আসার ও আহ্বান জানান। পলিথিনের বিকল্প হিসেবে পাটের ব্যাগ, কাপড়ের ব্যাগ ও কাগজের ব্যাগ ও ঠোংগা সহজলভ্য করার জন্যে উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানান।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন- পবার চেয়ারম্যান আবু নাসের খান, নাসফ সভাপতি হাফিজুর রহমান ময়না, আইনের পাঠশালা সভাপতি সুব্রত দাস খোকন, পুরান ঢাকা নাগরিক সভাপতি নাজিম উদ্দিন প্রমুখ।

এমএইচ/একে/আরআইপি