ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

ভেজাল কমেছে খাদ্যপণ্যে

প্রকাশিত: ০৩:৩৯ পিএম, ২৪ নভেম্বর ২০১৫

বাজারের খাদ্যপণ্যে ভেজাল কমেছে। মহাখালীর জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের খাদ্য পরীক্ষাগারের প্রাপ্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী এমনই তথ্য জানা গেছে।   

জানা গেছে, গত চার মাসে মহাখালীর জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের খাদ্য পরীক্ষাগারে মোট দুই হাজার ৬৮৩টি খাদ্যপণ্যের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। পরিক্ষীত মোট নমুনার এক তৃতীয়াংশ খাদ্যপণ্যে অর্থাৎ প্রায় ৯০০টি নমুনায় ভেজাল পাওয়া গেছে। ভেজাল পণ্যসমূহের মধ্যে রয়েছে দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য, তেল, ঘি, মাছ, ফলমূল ও জুস।   

জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জাগো নিউজের এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, রাজধানীসহ সারাদেশে আগের তুলনায় খাবারে ভেজালের পরিমাণ কমেছে। তিনি জানান, বিগত বছরগুলোতে গড়ে শতকরা ৪০ থেকে ৫০ ভাগ খাবারে ভেজাল থাকার প্রমাণ পাওয়া যেতো। এখন তা অনেক কমে এসেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, খাদ্য ল্যাবরেটরিতে খাবারের নমুনা স্বাস্থ্য অধিদফতরে কর্মরত স্যানিটারি ইন্সপেক্টরদের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয়। ল্যাবরেটরিতে মোট ১০৭ প্রকারের খাদ্যপণ্যে পরীক্ষার ব্যবস্থা থাকলেও অর্ধেকের বেশি খাদ্যপণ্য পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয় না।

ন্যাশনাল ফুড টেস্টিং ল্যাবরেটরির (এনএফএসএল) একজন শীর্ষ কর্মকর্তা জাগো নিউজকে বলেন, পরীক্ষাগারে পাঠানো খাবারের নমুনা পরীক্ষায় ভেজালের সংখ্যা কমলেও বাস্তবে কমেছে কি না তা নিশ্চিত করে বলার সময় এখনও আসেনি।

তিনি আরো বলেন, ভেজালরোধে সরকার কঠোর আইন প্রণয়ন করলেও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়নহীনতার কারণে আইনের সঠিক প্রয়োগ সম্ভব হচ্ছে না। ফলে পুরোপুরি ভেজাল রোধ করা কঠিন হয়ে পড়ছে।

এ ব্যাপারে জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের পরিচালক ডা. জাফর উল্ল্যাহ্ চৌধুরী মঙ্গলবার রাতে জাগো নিউজকে বলেন, স্যানিটারি ইন্সপেক্টরদের প্রত্যেককে বাধ্যতামূলকভাবে প্রতিমাসে কমপক্ষে পাঁচটি খাবারের নমুনা পরীক্ষার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া দেশে বিশুদ্ধ খাদ্যআইন প্রণয়ন ও তাৎক্ষণিক সাজা দেয়ার জন্য পৃথক খাদ্য আদালত গঠনের সরকারি উদ্যোগের কারণে খাদ্যে ভেজাল মিশ্রণকারীদের মধ্যে আতঙ্ক কাজ করছে।

তিনি জানান, এরফলে আগের তুলনায় ভেজাল খাবারের বিষয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। বিত্তবানরা এখন তাদের খাবার সামগ্রী নগদ টাকা খরচ করে জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করিয়ে নিচ্ছেন। এসব কারণে খাদ্যে ভেজাল মেশানোর প্রকোপ আগের তুলনায় কমছে বলে তিনি জোর দাবি করেন।  

এমইউ/এসএইচএস/এএইচ/পিআর